নাহিদ রানার পেস তান্ডবে বিধ্বস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ।বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন টাইগার পেসার নাহিদ রানা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। এই টাইগার পেসারের আগুন ঝরানো বোলিংয়ের সামনে ক্রিজে দাঁড়াতেই পারিনি ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা।
কিংস্টন টেস্টেও বাংলাদেশ চালকের আসনে বসেছে সেই সুবাদে। টাইগারদের ১৬৪ রানের বিপরীতে ক্যারিবিয়ানরা গুটিয়ে গেছে ১৪৬ রানে। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুধু কোমর ভেঙে দেননি, জ্যামাইকা টেস্ট জয়ের নতুন আশা জাগিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ এক্সপ্রেস।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের লিড ১৮ রানের। তাতে বড় এক ভূমিকা রেখেছেন নাহিদ রানা। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট তার। দিন শেষে বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে ক্যামেরার সামনে এসেছিলেন রানা। সেখানেই নিজের বোলিং নিয়ে জানিয়েছেন ভালো লাগার কথা।
রানা বলেন, ‘প্রথমে শুকরিয়া আদায় করতে চায় আলহামদুলিল্লাহ পাঁচ উইকেট পেয়েছি এজন্য। বেশি কিছু ট্রাই করিনি জাস্ট চেষ্টা করেছি ব্যাটসম্যানকে রুম (সুযোগ) না দেওয়ার। কোন অবস্থাতে কোন ব্যাটারকে কিভাবে বোলিং করা যায় সেটা চেষ্টা করেছি।’
দলের অবস্থা নিয়ে রানার ভাষ্য, ‘অবশ্য এখন আমরা একটা ভালো জায়গায় আছি। এখান থেকে আমরা যদি টোটাল একটা ২৫০ এর উপরে যেতে পারি। চার নম্বর দিনে ব্যাটিং করা ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে। উইকেটটা একটু অন্যরকম বাউন্স থাকবে, স্পিনারদের জন্য টার্ন থাকবে। সো ভালো কিছু আমরা একটা আশা করছি।’
চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে বোলিং সহায়ক পরিস্থিতিই আসার সম্ভাবনা বেশি। এমন অবস্থায় রানার ভাবনা বেশি কিছু চেষ্টা না করে লাইন লেন্থ অনুযায়ী বল করা, রানা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় এই উইকেটে বেশি কিছু ট্রাই না করে একটু লাইনে বোলিং করে ব্যাটসম্যান কে রুম না দিয়ে বল করলে ভালো হয়। এখানে অনেক কিছু ট্রাই না করে লাইন অনুযায়ী বোলিং করা উচিত।’
প্রথম টেস্টে বড় পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টেও শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে যায় দল। কিন্তু রানার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও চাপে ফেলা গেছে। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে লিড বাড়ানোর দিকে এগিয়ে আছে। নাহিদ রানা মনে করেন, ২৫০’র বেশি লিড নিতে পারলে ভালো কিছু আশা করা যাবে। এই উইকেটে ব্যাটিং কঠিন। বোলারদের জন্য বাউন্স এবং স্পিনারদের জন্য টার্ন রয়েছে।
উইকেটের চরিত্র বোঝার উপর জোর দিয়ে রানা বলেন, এখানে লাইন টু লাইন বোলিং করাই সফলতার চাবিকাঠি। ব্যাটসম্যানদের জায়গা না দিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
সবমিলিয়ে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন নাহিদ রানা। এটিই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং।
কালের সমাজ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :