ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্রিকেটেও গভীর প্রভাব ফেলছে। ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পাকিস্তানে আয়োজিত হওয়ার কথা থাকলেও ভারত সরকারের ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে না পাঠানোর সিদ্ধান্তের ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।
এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইস্যুটি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল ‘ক্রীড়া কূটনীতি’ এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, খেলাধুলা মানুষের মধ্যে সংযোগ তৈরি করার শক্তিশালী মাধ্যম এবং এটি মার্কিন নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে তিনি এটিও বলেন যে, ভারত ও পাকিস্তানকে নিজেদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ইস্যুতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না।
ভারত-পাকিস্তানের এই বিরোধ ক্রীড়া জগতে নতুন নয়। পাকিস্তান দল ২০১৬ ও ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেললেও ভারতের দল ২০০৮ সালের পর আর কখনো পাকিস্তান সফর করেনি। এর ফলে পাকিস্তান আগেও বেশ কয়েকবার তাদের স্বাগতিক অধিকার হারিয়েছে, যেমন ২০২৩ এশিয়া কাপে।
এখন দেখার বিষয়, আইসিসি এই সংকট কীভাবে সমাধান করে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার ওপর। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, ভারতের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্থান বা কাঠামো পরিবর্তিত হতে পারে।
কালের সমাজ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :