ঘরের মাঠে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাকিবের সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ইতোমধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেছেন দেশ সেরা এই অলরাউন্ডার। তবে ওয়ানডে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে চান আসন্ন আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত।
চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষ করেই সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়াল দিবে বাংলাদেশ দল। সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজটি। আসন্ন সিরিজটি ওয়ানডে সংস্করণের হওয়ায় সাকিব আল হাসান খেলবেন কি না এমন আলোচনা-গুঞ্জন কদিন ধরেই হচ্ছিল।
সাকিব প্রসঙ্গে বুধবার (৩১ অক্টোবর) গণমাধ্যমে কথা বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। জানিয়েছিলেন আসন্ন সিরিজে সাকিবের অ্যাভেইলেবল থাকার কথা। তবে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) চট্টগ্রামে বোর্ড সভাপতি সাকিবের না থাকার আভাসই দিলেন।
ফারুক বলেন, ‘সাকিব যখন চেষ্টা করছিল দেশে আসার, আসতে পারছিল না। তখন আমি কথা বলেছি তার সঙ্গে ২-১ বার। প্র্যাকটিসেও খুব একটা নাই ও। আমার মনে হয় ওর একটু সময় দরকার। আবার দলে যোগ দেয়ার আগে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়ে যায়নি। তবে আমার মনে হচ্ছে পরের সিরিজ খেলার সম্ভাবনা কম। বলছি না খেলবে না, তবে না খেলার সম্ভাবনাই বেশি।’
আসন্ন এই সিরিজে না খেললে ওই সময়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে পারেন সাকিব জানালেন ফারুক, ‘তার মানসিক অবস্থা, আবার একটা টি-টেন লিগও আছে; এখনও পারমিশন দেইনি, এনওসি দিলে খেলে ফেলবে। সাকিব এখনও ৫০ ওভারের ক্রিকেট ভালো করে খেলতে পারবে আমি বিশ্বাস করি। সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। মনে হচ্ছে এই ট্যুর সে মিস করবে।’
এর আগে আসন্ন সিরিজে খেলা প্রসঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবির কোটে বল ঠেলে দিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিকবাজকে তিনি বলছিলেন, ‘আমি কীভাবে বলব, এটা তো বিসিবির বলা উচিত।’
আগামী ৬ নভেম্বর শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ নভেম্বর।
কালের সমাজ/এ.স./আ.য
আপনার মতামত লিখুন :