ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণ ছিল সোজা—সিরিজ জিতলেই সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা মিলত। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সেই সম্ভাবনাও উজ্জ্বল করে তুলেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। কিন্তু শেষ ম্যাচে হারের কারণে সেই সুযোগ হাতছাড়া হয়। উইমেনস ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপে ৭ম স্থানে থেকে বাংলাদেশকে যেতে হচ্ছে বাছাইপর্বে।
সেই বাছাইপর্ব শুরু হচ্ছে বুধবার (১০ এপ্রিল) পাকিস্তানের মাটিতে। চলতি বছরের নভেম্বরে ভারতের মাটিতে বসবে আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের আসর। মূল আসরে জায়গা করে নিতে বাছাইপর্বে ৬ দলের মধ্যে থেকে শীর্ষ দুই দলকেই পেতে হবে টিকিট।
রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। ফলে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। একটিবার পা হড়কানোর সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ—ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও থাইল্যান্ড। প্রতিপক্ষ হিসেবে কেউই তেমন সহজ নয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ বরাবরই বাংলাদেশের জন্য কঠিন প্রতিপক্ষ।
পাকিস্তান ঘরের মাঠের সুবিধায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে।
আয়ারল্যান্ড—যাদের বিপক্ষে গত বছরই ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ।
এমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ গ্রুপে বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
দল পাকিস্তানে রওনা দেওয়ার আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধান কোচ সারোয়ার ইমরান বলেন,
“পাকিস্তানে আমাদের পাঁচটি ম্যাচ আছে, প্রতিটি ম্যাচই আমরা একটার পর একটা জিতে কোয়ালিফাই করতে চাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে শক্ত প্রতিপক্ষ হিসেবেই দেখছি। তবে অন্য দলগুলোকেও হালকাভাবে নিচ্ছি না।”
বাংলাদেশের ম্যাচ সূচি:
১০ এপ্রিল: বাংলাদেশ বনাম থাইল্যান্ড
১৩ এপ্রিল: বাংলাদেশ বনাম আয়ারল্যান্ড
১৫ এপ্রিল: বাংলাদেশ বনাম স্কটল্যান্ড
১৭ এপ্রিল: বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
১৯ এপ্রিল: বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান
নিগার সুলতানাদের সামনে কঠিন পথ। তবে আত্মবিশ্বাস, একাগ্রতা ও সেরা খেলাটা খেলতে পারলে বিশ্বকাপের মূল আসরে জায়গা করে নেওয়া অসম্ভব নয়।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :