ঢাকা সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২

সংবাদপত্র চালানো ও সাংবাদিকতা করা কঠিন হচ্ছে!

সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) মার্চ ১২, ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম সংবাদপত্র চালানো ও সাংবাদিকতা করা কঠিন হচ্ছে!

বাংলাদেশে কার্ডধারী কতপ্রকার সাংবাদিক আছে তার কোনো হিসাব নাই, তবে সংবাদপত্র চালানো ও প্রকৃত সাংবাদিকতা করা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে,চিন্তা করে দেখেন এর জন্য দায়ী আমরা নিজেরাই। মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ জেনেও কেন মানুষ প্রায় সবখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন?


বিশেষ করে কাগজপত্রসহ সবকিছুরই দাম বৃদ্ধি ও শ্রমিকের বেতন বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করাসহ ২০২৪ইং ৫ আগষ্ট গণহত্যা মামলার ভুয়া বাদি হয়ে ব্যবসায়ীসহ সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নাম দিয়ে হয়রানি করছে একটি মহল।
সেই সাথে তথ্য সূত্র জানায়, ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোর্শেদ ভুঁইয়া ৫ আগষ্ট দেশের বাইরে সৌদি হজ্জে ছিলেন, তার নামেও একাধিক মামলা করেছে প্রতারক চক্র। আশুলিয়া প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক খোকা চৌধুরীসহ সাভার আশুলিয়ায় অনেক সাংবাদিকের নামে মামলা করায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করাকঠিন হয়ে পড়েছে। এসব মামলার ভুয়া বাদী সায়েব আলী জলিলসহ অনেকেই, এক দুইজনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হলেও তারা জামিনে এসে আবারও সেই অপকর্ম করে। তারা কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো বিএনপি, কখনো অন্য পরিচয়ে প্রতারণা করে মানুষকে হয়রানি করছে, এসব ঘটনার বিষয়ে পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন: এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি সাহেব ও মহামান্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ সচেতন মহল। বিশেষ করে ২০২৪ইং জুলাই ও ৫ আগষ্ট পর্যন্ত মানুষের রূপরেখা ছিলো একরকম আর বর্তমান সময় ও পরিস্থিতি ভিন্ন রকম,তবে সব পুলিশ খারাপ নয়, এক দুইজন খারাপ-বাকীটা ইতিহাস। এখন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করার জন্য পুলিশ ও সাংবাদিকদের ভুমিকা কি জাতি জানতে চায়।


বিশেষ করে ৫ আগষ্ট ২০২৪ইং এর পর পুলিশই পুলিশের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং সাংবাদিকই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কাজ করছে নাতো? ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে ও পরের ঘটনা-বাকিটা ইতিহাস। ছাত্র-জনতার উপর হামলা ও গুলি চালিয়ে হত্যাকান্ড করেছে যারা
তাদেরকে শনাক্ত করতে সঠিকভাবে তদন্ত শেষে জড়িতদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহল। এসব নৃশংস হত্যা মামলায় যেসকল সাধারণ মানুষ ও সাংবাদিকদের নাম দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এটা জাতির কাছে খুবই লজ্জাজনক মনে হয়। খুবই দুঃখজনক যে, সাংবাদিক শিক্ষার্থীদের পক্ষে গত ৪ আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখ সংবাদ প্রকাশ করেছেন তার বিরুদ্ধেও হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।


“সাংবাদিকরাতো কোনো চোর ডাকাত নয়” তাদের উপর কেন এই নৃশংস হামলা ও মামলা করা হয় তা জাতি জানতে চায়, এ বিষয়ে মানবিক পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিকের ভূমিকা কি?”। এর আগে দেখা গেছে, ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ার সাংবাদিক দুই জাহিদ এর বিরুদ্ধে সাংবাদিকরাসহ ছাত্র-জনতায় মানববন্ধন করেছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, আসলে কি এখন থেকে সাংবাদিকরাও রাজনৈতিক করবে?


দেশের বিভিন্ন থানার কিছু পুলিশের স্বার্থে আঘাত লাগলে প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দেয়া হয়। কিছু পুলিশ সদস্য চাঁদাবাজি ও ফিটিংবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে আর সেই বিষয়ে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই সমস্যা, সেজন্য ষড়যন্ত্র করে মামলা দেয়া হয়। সাংবাদিককে আটকের পর তার কাছে থাকা কলম ক্যামেরাসহ বিভিন্ন মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে থাকে কিছু পুলিশ অফিসার। এরপরও যদি প্রকৃত সাংবাদিক আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়, তাকে আবার সাজা দেওয়ার জন্য মিথ্যা সাক্ষী তৈরি করে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার কৌশল করা হয়, ভুয়া বাদি বা ভুয়া মামলা দিয়ে সাংবাদিককে হয়রানি করে পুলিশ। তবে সব সাংবাদিক বা সব পুলিশ খারাপ নয়। মানবিক পুলিশ সদস্য ও প্রকৃত সাংবাদিক আছেন বলেই সাধারণ মানুষ এখনো আইন আদালতের প্রতি সম্মান করেন। বিশেষ করে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারণে বিভিন্ন হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হয় তারা। কেউ আবার নিজেদের অনেক বড় সাংবাদিক মনে করে অহংকারে মাটিতে পা রাখেন না, এতে আরো জটিলতা সৃষ্টি হয়। সারাদেশে সাংবাদিকদের উপর হামলা মামলা ও নির্যাতন বন্ধ করতে হলে থানা পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সাংবাদিক সবাইকে সচেতন হওয়াসহ ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করাটা জরুরী।


বিশেষ করে প্রকৃত সাংবাদিকরা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে কাজ করেন। সাংবাদিক কতো প্রকার? তার হিসাব নাই। তবে ১ থেকে ১৮ প্রকার সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে, ১। সাইনবোর্ড সাংবাদিক, ২। আইডি কার্ড সাংবাদিক,৩। ভুয়া সাংবাদিক, ৪। প্রেসক্লাব  সাংবাদিক, ৫। বহুমাত্রিক সাংবাদিক, ৬। কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক, ৭। দলীয় সাংবাদিক, ৮। ভবিষ্যতদ্রষ্টা সাংবাদিক, ৯। মৌসুমী সাংবাদিক,  ১০। শখের সাংবাদিক, ১১। অপসাংবাদিক, ১২। স্বার্থপর সাংবাদিক, ১৩। বঞ্চিত সাংবাদিক, ১৪। লাঞ্ছিত সাংবাদিক, ১৫। কাঙ্খিত সাংবাদিক, ১৬। সেলফি সাংবাদিক, ১৭। প্রকৃত সাংবাদিক। ১৮। মূলধারার সাংবাদিক। আর প্রকৃত সাংবাদিকরা প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে জীবনের
ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও জাতির সেবা করে যাচ্ছেন। তবে সেই ত্যাগী সাংবাদিকরা কি পাচ্ছেন? কেন সাংবাদিকতায় আসছেন বেকার মানুষগুলো?


সত্যি কথা বললে বা সংবাদ প্রকাশ করলে সেই সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা ও তাদের উপর নৃশংস হামলা করা হয়, এমনকি সাংবাদিক কোনো রাজনৈতিক নেতার সাথে ছবি তুললে সেই ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করা হয়, কিছু মানুষ নামের অমানুষ কুলাঙ্গাররা এসব করে থাকে, এসব খুবই খারাপ। সাংবাদিকরা কোনো চোর ডাকাত নয়, বা বড় দুর্নীতিবাজ নয় যে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে সাজা দিতে হবে, ১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কে কেমন সাংবাদিকতা করেছেন আর এখন কেমন সাংবাদিক তা ভাবনার বিষয়।


সূত্র জানায়, সারাদেশেই নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্রতা সুষ্টি করছে কিছু পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিক। এক থেকে ১৮ প্রকার সাংবাদিক কিন্তু কিছু পুলিশ সদস্যের নাম্বার নাই বা দিলাম। সেই সাথে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা, আশুলিয়া থানা, মিরপুর থানা, যাত্রাবাড়ি থানা, বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানাসহ সারাদেশে প্রায় অনেক থানায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। সাংবাদিকদের বলা হয় জাতির বিবেক, সেই অর্থে সাংবাদিকদেরকে কেন অপহেলা করাসহ অপমানিত করা হয়? কেন হয়রানি করা হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদেরকে?। অর্থ ও স্বার্থের জন্য মানুষ যদি অমানুষের পরিচয় দেন এটা খুবই লজ্জাজনক। সাংবাদিকদের পেশা যেন মানুষের সেবা করাই তাদের একমাত্র ধর্ম। যারা কাজ করেন তাদের ভুল হতেই পারে কিন্তু ছোট একটা ভুল করলে সাংবাদিকের উপর বড় ধরণের হামলা, মামলা করা হয় কেন?। থানায় ডেকে নিয়ে বা রাস্তা থেকে ধরে নিয়েই বিভিন্ন মামলা দেয়া হয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। আশুলিয়ায় সায়েব আলী জলিল গংদের ভুয়া বাদী সেজে মিথ্যা ও ভুয়া মামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক নেতারা। বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন পুলিশ বাহিনী এটা যেমন সত্য তেমনি সাংবাদিকরা সংবাদ প্রকাশ করেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এটাও বাস্তব। সরকার পুলিশকে বেতন ভাতা দিলেও তারা চাঁদাবাজি, ফিটিংবাজি করেন কেন?, সাংবাদিকরা পাচ্ছেন না সরকারি কোনো সম্মানি ভাতা, অনেক প্রতিষ্ঠান সাংবাদিককে ঠিকমতো বেতনও দেন না। ভালো কাজ করলে বলা হয় এটা তাদের দায়িত্ব, সামান্যতম ভুল করলে
তাদেরকে বড় গালাগালি দেওয়া হয়। সব পুলিশ খারাপ না, কিছু পুলিশ সদস্য খারাপ তাই পুলিশের বদনাম হয়। মানবিক পুলিশ ও প্রকৃত সাংবাদিক ঘর থেকে বাহিরে বের হলে বা ডিউটিতে গেলে তাদের পরিবারের সদস্যরা অনেক চিন্তায় থাকেন যে, নিরাপদে বাসায় ফিরতে পারবে
কিনা? অনেক সময় তাদের লাশ হয়ে ঘরে ফিরতে হয়। সবকিছু মিলে সংবাদপত্র ছালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, পত্রিকায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা চালালে সেই সাংবাদিককে দাদাল বলে কিছু মানুষ নামের কুলাঙ্গাররা। প্রকৃত সাংবাদিকতা করা কঠিন হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচার হয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান, এটাও সমস্যা।


দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, র‌্যাব বাহিনী যে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খুনী, ধর্ষণকারী, অপহরণকারীদেরকে গ্রেফতার করেন এবং ভিকটিম উদ্ধার করাসহ অনেক কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেন এর জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষ করে কিছু লোকজন অভিমত প্রকাশ
করেন যে, পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট হলেও সেই অর্থে তুলনামূলক ভাবে সেবার মান বাড়ছে না। সূত্রমতে, ঢাকা বিভাগের সকল থানায় সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে,এতে যেমন প্রশংসা বাড়ছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের। তবে কিছু থানা পুলিশের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে
পুলিশ বাহিনীর বদনামও হচ্ছে কিন্তু এই দায় নিবে না মানবিক পুলিশ সদস্যরা। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ধুলাবালির সাথে থেকে প্রতিদিন অনেক কষ্টের মধ্যে ডিউটি করেন, তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশেপাশের থানায় পুলিশের তেমন কোনো সমস্যা না থাকলেও মফস্বল এলাকা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় আসার জন্য পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করে থাকেন। এর অনেক কারণও রয়েছে। মফস্বল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের নানারকম সমস্যা, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। পুলিশের থাকা খাওয়ার সমস্যা। অনেক সময় জরুরি কাজে গাড়ি না পাওয়াসহ নানারকম সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যেদের অনেক কষ্ট করে ডিউটি করতে হয়, তাদের অনেকেই সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন এমন অনেক তথ্য রয়েছে। সুত্রে জানা গেছে, অনেক ইউনিটে চাহিদার চেয়ে অর্ধেকেরও কম জনবল দিয়ে দৈনন্দিন
কাজ চালানো হচ্ছে পুলিশ বাহিনীতে। বেশিরভাগ ইউনিটি ও থানার নিজস্ব কোনো ভবন নেই, আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। অনেক সময় জরুরি অভিযান পরিচালনার জন্য গাড়ি পাওয়া যায় না। দুঃখজনক বিষয়ঃ সাধারণ মানুষ অনেকেই বলেন, ডাকঢোল
পিটিয়ে রং বে-রঙের বেলুন উড়িয়ে পুলিশ বাহিনীতে নতুন নতুন ইউনিটির যাত্রা শুরু হয় কিন্তু সেবার মান বাড়েনি।


রাজধানী ছাড়াও যেমনঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা ভাড়া বাড়িতে চলছে পুলিশের কার্যক্রম। এই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও তদন্ত ওসিসহ ৪০ জনের মত অফিসার রয়েছেন। দেখা যায়, বেশিরভাগ পুলিশ অফিসারগণ ভাড়া গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। ১৬-১৭ বছর আগের পুলিশ আর বর্তমান সময়ের পুলিশ একরকম নয়। সরকার যেমন পুলিশের বেতন বৃদ্ধি করেছে, তেমনি পুলিশের কষ্টও বাড়ছে। এদিকে ট্রাফিক পুলিশের কয়েকজন সদস্য জানান, পুলিশ সদস্য ভালো কাজ করলে পাবলিক বলে এটা পুলিশের দায়িত্ব কিন্তু পুলিশ সদস্য ছোট কোনো ভুল করলে তাদেরকে অনেক সময় বড় ধরণের শাস্তি দেয়া হয়, এমন কি চাকরি চলে যায়। বাংলাদেশের “প্রশাসনিক কাঠামো” ৬টি থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে ৮টি বিভাগ ও ৬৪ জেলা করা হয়েছে। ৬৪ জেলায় ৮৬,৬০৮টি গ্রাম। ১৯৭১ সালে মাত্র ৭কোটি জনগণ ছিলো, যা বর্তমানে প্রায়
১৮কোটির মত জনগণ হয়েছে। মানুষ বাড়ছে, ঘর বাড়ি বাড়ছে, ইটভাটা বাড়ছে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। পুলিশের নতুন নতুন ইউনিট বাড়ছে, পুলিশ সদস্যও বাড়ছে, কিন্তু সেই অর্থে কি সেবার মান বাড়ছে?। দেখা যাক ২০২৫ইং সাল কেমন যায়। সামনে আগামী জাতীয় সংসদ জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় পুরো জাতি। ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বিশ্বের একমাত্র দেশ বাংলাদেশে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন সালাম, বরকত, রফিক জব্বারসহ আরও নাম না জানা অনেকে। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে যা হয়নি তা ঘটেছে ২০২৪ইং ৫ আগষ্টে পুলিশকে হত্যা করে ওভার ব্রীজে ঝুঁলিয়ে রাখা হয়েছে, সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছে, ছাত্র-জনতার উপর গুলিবর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। সিসিটিভি ভিডিও ও মোবাইল নাম্বার ট্যাকিং ও কার মোবাইল নাম্বারে কি কথা হয়েছে? এসব তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের সাজা নিশ্চিত করা এবং যারা দোষী নয় তাদেরকে মামলা থেকে নাম বাদ দিয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করা দরকার। সবার দাবী প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে আটকের পর আইনের আওতায় আনা হোক।


বাংলাদেশে বেশিরভাগ থানায় সত্য-মিথ্যা দিয়ে মামলা হয় আর মামলার বিষয়ে ঘুষ বাণিজ্য-গত বুধবার একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদে “ঘুষ চান আদালতের কর্মচারীরা” এটা কেমন হয়? ওই পত্রিকায় দেখা যায়, “৬৬ শতাংশ বিচারকের মত, সাপোর্ট স্টাফরা ঘুষ চান”। আদালতের কর্মচারীরা ঘুষ চান, এমন তথ্য এসেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে। থানা থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত ঘুষ বাণিজ্য হবে না যদি সবার ভেতরে পরকালের ভয় থাকে। সবখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, আর মানবাধিকার লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ জেনেও কেন মানুষ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছেন? পরিবার, সমাজ, গ্রামের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে থানা ও জেলা পর্যায়ে যারা বিচার করেন তাদের কাছ থেকে জানা যায় প্রায় সবখানেই সাধারণ মানুষ অবহেলায় জীবনযাপন করেন এবং প্রভাবশালীদের কাছে তারা একরকম জিম্মি হয়ে জীবনযাপন করেন,নির্যাতনের শিকার হোন অনেকেই। মানুষের মথ্যে এখন মানবতা নেই বললেই চলে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের মানবাধিকার কর্মীও অনেক সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকেন আর কি বলবো দেশের প্রায় সবখানেই মানবাধিকার রক্ষা করা কঠিন,তবুও আমরা চেষ্টা করছি মানুষ যেন তাদের সঠিক বিচার পায় আর কোথাও যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবার নজর দেওয়া দরকার, সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। বাংলাদেশে জাতীয় পাঁচ শতাধিক পত্রিকা সরকারি তালিকাভুক্ত তাদের প্রায় প্রতিটি জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সংবাদ কর্মী রয়েছে, এর মধ্যে নানারকম সাংবাদিক আছে যাদের হিসাব সরকারের কাছেও নাই। সংবাদ লেখা আর উপ-সম্পাদকীয় লেখা বা প্রকাশ করা একরকম নয়।

 

কালের সমাজ//এ.জে

Side banner

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর