এক আহত মনের কান্না
✍️এইচ এম হাবিব✍️
সবাই তো আমরা কাদি কেউ গোপনে নয়তো লোক চক্ষে।কান্না বোধহয় প্রশান্তি এনে দেয়, এক পাহাড় সমান কষ্টের সমাপ্তি দু ফোটা চোখের জ্বল ছাড়া বেশি কিছু নয়।তার দেওয়া কষ্ট ভুলার জন্য আমি রোজ রাতে বারান্দায় বসে দুটো লাইন লিখতাম।দুটো লাইনের বেশি কখনো আমি লিখতে পারিনি কারণ লেখার জন্য ডাইরির পাতায় শুকনো জায়গা আমি খুজে পাইনি।
আমার মুখের সিগারেট এর ধোয়া যেমন আকাশ ছুতে চাইতো,তার দেয়া দুঃখ গুলো তেমন আমাকে ছুয়ে ছিলো।আমার মন তাকে নিয়ে ভীষণ সন্ধিহান। তার চলে যাওয়া আমিতো চাইলেই আটকাতে পারতাম। বা সেওতো চাইলেই পারতো থেকে যেতে।কিন্তু সে থাকেনি সে বেছে নিয়েছিল দাসত্বের জীবন।সে চেয়েছিল এক বন্দিশালার ভোগ্য পণ্য হতে।
আমার জীবনে তার স্বেচ্ছা চারিতা বোধহয় তাকে পরাধীনতায় আকৃষ্ট করেছিল।হয়তো তার কাছে স্বাধীনতার মানেই অজানা ছিল।আমি নিয়তি কে দোষ দেইনা। কেননা নিয়তি তো আমার কর্মেরই ফসল।সেদিন সুগন্ধিরাজ ফুলও দিয়েছিল, সুগন্ধ ও দিয়েছিল তবে কেন আমার ভালোবাসার ফুল অচীরেই ঝরে গেল।ইচ্ছে করে জবাব চাই, কিন্তু জবাব দিতে চাওয়া সেই জবা ফুলটা আজ অন্য কারো ফুলদানিতে সোভা দিচ্ছে। এখানেই আমার শান্তি, তাকে আমি আমার ফুলবাগানে সাজিয়ে রাখতে চেয়েছিলাম। সে চাইলো পোড়ামাটির একটুকরো আস্তরণ। যার স্থান আবদ্ধ ঘরের কোন এক কোণে।
আজ সে ঘরের কোণে থাকতে থাকতে মেনেই নিয়েছে পৃথিবীটা বোধ হয় এতো টুকুই।তার যে চোখে আমি পুরপৃথিবী দেখতাম আজ সে চোখ অবরুদ্ধ থাকে ভিসি আর, আর পুরনো অ্যালবামে জমে থাকা স্মৃতির মাঝে।জানি নাহ সেই অ্যালবামে আমার স্থান আছে কিনা তবে আমি যে তার জীবন থেকে বিলীন হয়ে গেছি তা বুঝতে বাকি নাই।আজো চোখে পড়ে জানালার ধারে তাকে দাড়িয়ে থাকতে,শুধু তার হারিয়ে ফেলা হাসিটা আর খুজে পাই নাহ।
কালের সমাজ/যাবিদ
আপনার মতামত লিখুন :