নামাজি ব্যক্তি নামাজের মধ্যে যখন মৌখিকভাবে তাওহিদ বা একাত্ববাদের সাক্ষ্য দেয় তখন তার আঙুলও এই সাক্ষ্য দেবে। এ জন্য আত-তাহিয়াতু পড়তে পড়তে যখন ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা’ পর্যন্ত পৌঁছবে তখন বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমা দ্বারা গোলক বানাবে, শাহাদত আঙুলির মাধ্যমে ইশারা করবে। আর কনিষ্ঠা ও অনামিকা হাতের তালুর সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ‘ইল্লাল্লাহ’ বলার পর শাহাদত অঙ্গুলি নিচু করবে। তবে অন্য আঙুলগুলো আপন অবস্থায় নামাজের শেষ পর্যন্ত থাকবে। বৃদ্ধাঙ্গুলির নিকটতম আঙুলকে শাহাদত আঙুল বলা হয়। ইশারা শেষ করে আঙুল আর নড়াচড়া করবে না।
হযরত আমের আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘রসুল সা. যখন তাশাহহুদ পড়ার জন্য বসতেন, তখন ডান হাতখানা ডান ঊরুর ওপর, বাঁ হাতখানা বাঁ ঊরুর ওপর রাখতেন। আর শাহাদত আঙুলের মাধ্যমে ইশারা করতেন। এ সময় তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলিকে মধ্যমার সাথে সংযুক্ত করতেন, বাঁ হাতের তালু হাঁটুর রাখতেন। (মুসলিম ১৩৩৬, ইবনে হিব্বান ৫/২৭০)
আঙুল নাচানোর বিষয়ে হযরত আব্দুল্লাহ বিন জুবায়ের রা. থেকে বর্ণিত, রসুল সা. যখন তাশাহুদ পড়তেন, তখন আঙুল দিয়ে ইশারা করতেন, কিন্তু আঙুল নাড়াতেই থাকতেন না। (নাসায়ি কুবরা ১১৯৩, আবু দাউদ ৯৮৯, মুসনাদে আবি আওয়ানা ১৫৯৪)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, ‘আল্লাহর রসুল মুহাম্মদ সা. আমার হাত তার হাতের মধ্যে নিয়ে আমাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিয়েছেন।
কালের সমাজ/এ.স./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :