বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রাষ্ট্র সংস্কার উদ্যোগে বিএনপি পূর্ণ আন্তরিকতা, স্বচ্ছতা ও গুরুত্বের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এবং গঠনমূলকভাবে সহযোগিতা করছে।
রোববার (২০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে পাঁচ কমিশনের প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা সমাপ্ত করা যাবে। এখন আমরা সংবিধানের যে পর্যায় থেকে আলোচনা শেষ করেছিলাম, ওই পর্যায় থেকে আলোচনা শুরু করব। এরপর বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থাসহ বাকি দুটি কমিশনের ওপর আলোচনা শেষ করে, আশা করছি বিকেলের মধ্যে শেষ করতে পারব।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনার পর বৈঠক মুলতবি করা হয়েছিল। এদিন দিনব্যাপী বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও বিএনপি সংবিধান ও বিচার ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে। সেদিন সব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় আজ আবার বৈঠক চলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
অন্য সদস্যরা হলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিহউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়।
ওই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেন। বাকি সদস্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল মাহমুদ টুকু।
উল্লেখ্য, পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো জমা দেওয়ার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস তার নেতৃত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০ মার্চ থেকে সংসদ ভবনের এলডি হলে আলী রীয়াজের নেতৃত্বে কমিশন আলাদা আলাদাভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে।
প্রথম পর্যায়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রণীত সুপারিশসমূহ রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত জানাতে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে তাদের মতামত পেয়েছে।
কালের সমাজ//এ.স//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :