জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।তিনি আজ লন্ডনে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশন(আইএমও) কাউন্সিল এর ১৩৩তম অধিবেশনে বক্তব্য প্রদান কালে এ মন্তব্য করেন।
এ সময়ে উপদেষ্টা উন্নত বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রসমূহকে বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উভয় ক্ষেত্রেই শিপিং কার্যক্রম পরিচালনায় আইএমও এর অনুসৃত নীতি অনুসারে গ্রীণহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমাতে বদ্ধপরিকর। এছাড়াও জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ করতে কাজ করছে সরকার। চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে গ্রীন পোর্টে রুপান্তর করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরকেও গ্রীন পোর্ট হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পরিবেশবান্ধব এ সকল বৃহৎ কর্মযজ্ঞে বিনিয়োগ করতে উন্নত রাষ্ট্র সমূহকে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।"
বাংলাদেশের বিশ্বমানের মেরিন একাডেমী গুলোতে আফ্রিকা, ক্যারিবিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এলডিসি এবং স্মল আইল্যান্ড ডেভেলপিং স্টেটস (এসআইডিএস) ভুক্ত দেশসমূহের ১০ জন মেধাবী মেরিন ক্যাডেটকে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
সোমালিয়া উপকূলসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন নৌ রুটে জলদস্যুদের জাহাজ ছিনতাই, নাবিকদের অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের পক্ষে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।তিনি আন্তর্জাতিক সস্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শীঘ্রই এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করেন। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও ঐক্যমত্য এ সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে বলে উপদেষ্টা অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই ও পরিবেশবান্ধব আন্তর্জাতিক শিপিং পরিচালনায় আইএমও কাউন্সিল এবং বিশ্ব নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এর নেতৃত্বে লন্ডনে অনুষ্ঠিত আইএমও কাউন্সিলের ১৩৩তম অধিবেশনে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করে।
কালের সমাজ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :