কারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহে স্বস্তি ফেরাতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) টার্মিনাল স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহে দীর্ঘদিনের ঘাটতি পূরণ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কাতারের রাজধানী দোহায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন,“অনেকে বলেছেন, গ্যাসের অভাবে তারা কারখানা স্থাপন করতে পারছেন না। তাই, আমরা যত দ্রুত সম্ভব একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চাই যাতে বিদেশ থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস আমদানি করা যায়।”
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দোহা সফরের সময় কাতার এনার্জির সঙ্গে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সূচনা হয়েছে। এই এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপন করা হবে মিগগির উপযোগী এলাকায়।
“আমরা আশা করি, এটি বাস্তবায়িত হলে দেশের কারখানাগুলোর গ্যাস সংকট অনেকটাই দূর হবে,”— বলেন শফিকুল আলম।
প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফরকে ‘অত্যন্ত সফল ও আকর্ষণীয়’ আখ্যা দিয়ে প্রেস সচিব বলেন, “এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এখন বাংলাদেশে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।”
তিনি বলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের সময় ৩২০ কোটি মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণ ছিল, যা এখন কমে এসেছে মাত্র ৬০ কোটি ডলারে। এই বাকি ঋণ কয়েক মাসের মধ্যেই পরিশোধ করে ফেলা হবে।”
শফিকুল আলম আরও যোগ করেন, “এটি একটি স্পষ্ট সংকেত যে, বাংলাদেশ এখন ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত।”
চার দিনের সফর শেষে আজ শুক্রবার দোহা থেকে ইতালির রোমে যাত্রা করেছেন অধ্যাপক ইউনূস, পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে।
কালের সমাজ//এ.স//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :