ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

শেষ হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ১৪, ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম শেষ হলো বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণ থেকে সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি টিএসসি, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদের সামনেই এসে শেষ হয় সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে।

‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’—এই প্রতিপাদ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

বর্ণিল এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, কৃষক-রিকশাচালক প্রতিনিধি, নারী ফুটবলার এবং দেশের ২৮টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। একত্রে মিলেছিল বাংলার বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আর ঐক্যবদ্ধ মানবতার প্রতিচ্ছবি।


শোভাযাত্রা ছিল রঙিন মুখোশ, শিল্পিত পোস্টার, প্ল্যাকার্ড ও ঐতিহ্যবাহী সাজসজ্জায় ভরপুর। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে ব্যবহৃত হয় তাদের জাতীয় পতাকা ও প্রতীকী মোটিফ—বিশেষ করে তরমুজের ফালি যা প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এবারের শোভাযাত্রায় প্রদর্শিত হয় ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফ—মোট ২১টি শিল্পকর্ম। মূল আকর্ষণ ছিল ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ নামে একটি প্রতীকী শিল্পমূর্তি। এ ছাড়া পায়রা, মাছ, বাঘ এবং আলোচিত ‘মুগ্ধর পানির বোতল’ এর শিল্পরূপও নজর কাড়ে।


নতুন বছরের প্রথম সকালটি ছিল উৎসব, শিল্প, প্রতিবাদ ও ঐক্যের এক মহামিলন। বর্ষবরণ শোভাযাত্রা যেন হয়ে উঠেছিল বাঙালির হৃদয়ের হাজারো রঙের প্রতিচ্ছবি।

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner