প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বল্পমেয়াদি সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার চাওয়া হলে নির্বাচন আগামী জুনে আয়োজনের কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে দুই পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং কৌশলগত খাতগুলোতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমরা এখন একটি রূপান্তরকালীন সময় পার করছি। আমাদের লক্ষ্য প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ও অগ্রাধিকার পুনর্নির্ধারণ।"
সরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের দুর্বলতা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, "আমাদের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম প্রায় অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যুক্তরাজ্য এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।" তিনি আরও বলেন, নার্সের ঘাটতি মেটাতে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা বিশ্বজুড়ে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
ওষুধ শিল্পের প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "ভ্যাকসিনের পেটেন্ট সুরক্ষা তুলে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের সোচ্চার অবস্থান প্রয়োজন, যাতে স্বল্প খরচে সামাজিক ব্যবসার মডেলে উৎপাদন করা যায়।"
দুই পক্ষ শিক্ষা, বস্ত্র শিল্প, প্রতিরক্ষা ও বিমান চলাচলসহ বেশ কিছু কৌশলগত খাতে সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ইউনূস বলেন, "শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন, বস্ত্রখাত আধুনিকায়ন এবং বিমান ও প্রতিরক্ষা খাতে যুক্তরাজ্যের সহযোগিতাকে আমরা স্বাগত জানাই।"
নারীর সমঅধিকারের বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, "নারী ক্ষমতায়ন আমাদের উন্নয়ন কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। আমরা সবসময় নারীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিই।"
ব্যারোনেস উইন্টারটন বলেন, "বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে সন্তুষ্ট এবং এসব উদ্যোগে যুক্তরাজ্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।"
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন ও এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ। উভয় পক্ষ প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময় ও দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন।
কালের সমাজ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :