ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে পরীক্ষার্থীদের অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৬:৫১ পিএম ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছাতে পরীক্ষার্থীদের অবস্থান

আগামী মে মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা এগিয়ে ৮ মে নির্ধারণ করায় পরীক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তাদের দাবি, পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা কমপক্ষে দুই মাস আগেই জানাতে হবে এবং ঘোষিত ৮ মে’র পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসি কার্যালয়ে ঢুকে পড়ে বিভিন্ন বিসিএসের পরীক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় থানা পুলিশ ও সেনা বাহিনীর টহল টিম। বিকেল ৩ টার দিকে বিক্ষুব্ধ বিসিএস পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে ৬ প্রনিধির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মুনিম।

পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পিএসসি ঘোষণা করেছে আগামী ৮ মে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এদিন লিখিত পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক নন পরীক্ষার্থীরা। কারণ, সরকারি কর্ম কমিশন থেকে জানানো হয়েছিল— পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পিএসসির ফেসবুক পেজে জানানো হবে।

পরীক্ষার্থীরা জানান, ওই পিএসসির ফেসবুক পেইজে আমাদেরকে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়েছিল সম্ভাব্য মে মাসের শেষ সপ্তাহে। সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এর মধ্যেই ঈদের আগে আমাদেরকে নোটিশ করে জানানো হয় ওই লিখিত পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। ইতোমধ্যে ৪০তম বিসিএসের ভাইভা পরীক্ষা চলছে, ৪৫ তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে অন্তত দেড় বছর আগে। সেটার এখনো ফলাফল হয়নি। এর মধ্যে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার আয়োজনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। ৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার একমাস পরে আবার ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।

এক পরীক্ষার্থী বলেন, এক মাসের নোটিশে ৯০০ নম্বরে পরীক্ষা দেওয়া কতখানি যুক্তিযুক্ত। যেখানে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার দুই মাস আগে নোটিশ করা হয়েছে। সেখানে ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এক মাস আগে জানানো হলো।

পরীক্ষার্থীরা বলেন, আগামী ৮ মে পিএসসি ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের যে নোটিশ করেছে সেটিতে আমরা অংশ নিতে চাই না। ওই পরীক্ষা পিছিয়ে জুন মাসে নিতে হবে। পাশাপাশি আগামী জুন মাসের আগেই ৪০ তম বিসিএসের রেজাল্ট ক্লিয়ার করতে হবে। যাতে করে একই প্রার্থী বারবার অন্য বিসিএসগুলোতে অংশ নিতে না পারে। কারণ, একজন প্রার্থী বিভিন্ন বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাডারে সুযোগ পাচ্ছে, অন্য পরীক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এটা পরীক্ষার্থীদের সমস্যা নয় এটা পিএসসির সমস্যা। এসব দাবিতে আমরা আজকে পিএসসিতে এসেছি। পিএসসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন আমাদের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকে আশা করি সঠিক সিদ্ধান্ত জানাবে পিএসসি।

বিক্ষুব্ধ এক পরীক্ষার্থী বলেন, এর আগেও আমরা পিএসসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। আজকে সকালে তিনি কালের কণ্ঠের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এটার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, পিএসসি চেয়ারম্যান কালের কণ্ঠকে বলেছেন— নিচে যারা অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলন করছেন তারা বিসিএসের পরীক্ষার্থী না বা দুর্বল পরীক্ষার্থী ও অযোগ্য। পিএসসির মতো জায়গা সর্বোচ্চ পজিশনে থেকে এ ধরনের কথা, পরীক্ষার্থী শিক্ষার্থীদেরকে অবজ্ঞা করা কোনোভাবেই মানা যায় না। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস নাকি এক। বিষয়টা হাস্যকর। এই কথা তিনি কীভাবে পিএসসি চেয়ারম্যান হয়ে বলতে পারেন। যদি তাই হয় তাহলে লিখিত নেওয়ার দরকার কী, প্রিলিমিনারি দিয়েই তো চাকরিটা দিয়ে দিতে পারেন। তার এ ধরণের বক্তব্য আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে হবে।

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner