যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। নতুন এই সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করতে সময় লাগবে মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিট, যা দেশের যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম সেতুটির উদ্বোধন করেন।
যমুনা নদীর ওপর বর্তমান বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে নির্মিত এই রেলসেতুতে দুটি পৃথক লাইন রয়েছে, যা দুই দিক থেকে ট্রেন চলাচলের সুবিধা দেবে। নতুন রেলসেতু দিয়ে ট্রেন সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সেতুর একটি লাইন দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এখন থেকে দুটি লাইনেই ট্রেন চলবে। নতুন সেতু চালুর ফলে যাত্রীদের আসনভেদে ভাড়া ৪৫ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বাড়বে, যা কার্যকর হবে ১৯ মার্চ থেকে।
প্রায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল ২০১৬ সালে। নির্মাণ ব্যয় প্রায় ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে সচিব ফাহিমুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা সিনচি এবং জাইকার দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক ইতো তেরুয়াকি।
রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে ইব্রাহিমাবাদ স্টেশনে উদ্বোধনী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ট্রেনযোগে অতিথিরা সিরাজগঞ্জের সায়েদাবাদ রেলস্টেশনে যান।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :