সাবেক এমপি জান্নাত আরা হেনরীর ৫৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। ৩৫ ব্যাংক হিসাবে তাঁর ২ হাজার ১৩ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁর স্বামী শামীম তালুকদারের সন্দেহজনক লেনদেন ৩৬০ কোটি টাকা। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী গত ৫ বছরে সবচেয়ে বেশি ৪৯৭ গুণ সম্পদ বেড়েছে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরীর। অস্বাভাবিক হারে সম্পদ বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ ৫ সংসদ সদস্যকে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা অনুসন্ধানে এ তথ্য বেড়িয়ে আসে।
একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা জান্নাত আরা হেনরী ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-২ আসন থেকে হেরে যান। নির্বাচনী হলফনামায় তখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ২০০৯ সালে সোনালী ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচিত হন তিনি। ২০২৪ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তিনি সম্পদ দেখান ৬৬ কোটি টাকার।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জান্নাত আরা হেনরী, তাঁর স্বামী শামীম তালুকদার ও মেয়ে মুনতাহা রিদায়ী লামের দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর তাদের ৬০ দিনের জন্য দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। মামলার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারি পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ তাদের দেশত্যাগে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনের বলা হয়, জান্নাত আরা হেনরী, তার পোষ্যগণ জ্ঞাত আয়বর্হিভূতভাবে অর্থ, স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্যাদি এবং সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত এবং অবৈধ টাকাসহ যেকোনো মুহূর্তে দেশত্যাগ করতে পারে। এজন্য তাদের বিদেশ গমনরোধ করা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সদর থানা এলাকার একটি বাসা থেকে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. জান্নাত আরা হেনরি ও তাঁর স্বামী সাবেক সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লাবু তালুকদারকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ এর সদস্যরা।
গত ৫ আগস্টের পর তাঁরা সিরাজগঞ্জ থেকে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। সর্বশেষ তাঁরা মৌলভীবাজারে অবস্থান করেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানায় র্যাব।
কালের সমাজ/আ.য
আপনার মতামত লিখুন :