মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিধানে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করলে রাষ্টদ্রোহিতার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয় এ সংশোধনীর মাধ্যমে।
এছাড়া সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে বিধান আনা হয়, যা আগে ছিল সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার। এরকম ছোট বড় ৫৫টি সংশোধনী আনা হয় সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
এ আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ আগস্ট সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্টজন রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ আগস্ট রুল দেন। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীতে একই সঙ্গে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়টি রাখা হয়েছে; যা পরস্পরবিরোধী ও সাংঘর্ষিক। এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।
গত ৪ ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষ হয়। রিটে পক্ষভুক্ত হয় বিএনপি, জামায়াতসহ কয়েকটি সংগঠন। প্রায় সবাই তত্ত্ববধায়ক সরকার বহালের পক্ষে মত দেন।
কালের সমাজ//এ.স//আ.য
আপনার মতামত লিখুন :