বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে আলোচিত দুটি নাম সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। লম্বা সময় ধরে দেশের ক্রিকেটের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন তারা। জাতীয় দলের দুই সতীর্থের ক্রিকেটীয় সম্পর্কের বাহিরে হয়েছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কও। কিন্তু গত বছর হঠাৎ করে তাদের সম্পর্ক নিয়ে বোমা ফাটান সাবেক বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সাকিব এবং তামিমের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত তাদের আচরণ বা মাঠে পারফরম্যান্সে এটা কখনও বোঝা যায়নি। পাপনের ওই সাক্ষাৎকারের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে চর্চিত বিষয় সাকিব-তামিম দ্বন্দ্বের খবর। কেউ তামিম আবার কেউ সাকিব-ভক্তরাও ভাগ হয়ে গেছেন দুই দলে।
এ বিষয়ে এতদিন চুপ থাকলেও মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। তার মতে, তাদের সম্পর্কটা যদি এখনো ঠিকঠাক থাকত, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আরও উপকৃত হতো।
চলমান বাংলাদেশ-ভারতের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধারাভাষ্য দিতে ভারত সফরে গেছেন তামিম। এ সময় ভারতের ক্রীড়া সাময়িকী ‘স্পোর্টস্টার’কে এক সাক্ষাৎকারে সাকিবের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে বলেছেন তামিম।
তামিম সাক্ষাৎকারে বলেন , সম্পর্কে উত্থানপতন থাকা স্বাভাবিক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে; আপনার কারণে যেন অন্য কারও ক্ষতি না হয়। আমরা দুজনই (সাকিবসহ) দেশের জন্য খেলেছি। কখনও তাকে নিয়ে গণমাধ্যম বা অন্য কোথাও আপত্তিকর কিছু বলিনি, তাকে দোষ দিইনি।
গত বছর আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ করে অবসর ঘোষণা করেন তামিম। এরপর ক্রিকেটে ফিরলেও বাদ পড়েন বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। তামিমের এই বাদ পড়ার জন্য ক্রিকেটভক্তরা সাকিবকে দায়ী করেছিলেন।
দল ঘোষণার পরদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে সাকিবের ছবি পুড়িয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছিলেন ভক্তরা। এরপর ওয়ানডে বিশ্বকাপের বিমানে ওঠার আগে বোমা ফাটান সাকিব। এক সাক্ষাৎকারে সতীর্থ তামিমকে নিয়ে বেশ কয়েকটি মন্তব্য করেন দেশসেরা এই ক্রিকেটার।
যা ক্রিকেটভক্তরা ভালোভাবে নিতে পারেননি। সাকিবের সেই মন্তব্য তামিমও ভালোভাবে নেননি। যা এবার সমানে এনেছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
এই সাক্ষাৎকারে সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়ে তামিম বলেন, আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, সাকিব দেশের জন্য যা করেছে তা অবিশ্বাস্য। তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ভালো কিংবা খারাপ যেমনই থাকুক, তাকে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। সাকিব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় তারকা।
তামিম এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরেননি। তার ফেরার আগেই সাকিব অবসর নিয়েছেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে। সাকিবের শেষ টেস্টে ছিলেন তার একসময়ের বেশ ভালো বন্ধু তামিম। কিন্তু মাঠের সতীর্থ হিসেবে নয়, তামিম ছিলেন ধারাভাষ্য কক্ষে। চলমান বাংলাদেশ-ভারত সিরিজে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ভারতে আছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
কালের সমাজ/যাবিদ
আপনার মতামত লিখুন :