ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে একদিনে নিহত ৫৯

কালের সমাজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:৩৩ এএম ইসরায়েলের হামলায় লেবাননে একদিনে নিহত ৫৯

ইসরায়েলের বিমান ও স্থল বাহিনীর অভিযানে লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় একদিনে নিহত হয়েছেন ৫৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১১২ জন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সর্বশেষ এই হতাহতের ঘটনার পর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত এক বছরে লেবাননে মোট নিহতের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৪২ জন এবং আহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৫৬ জনে পৌঁছেছে।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের অপর পারে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এই দক্ষিণাঞ্চলেই বিশ্বের বৃহত্তম সশস্ত্র ইসলামি রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান ঘাঁটি। গোষ্ঠীটির অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার অবস্থান এখানে। ইরানের প্রত্যক্ষ সমর্থন ও মদতে ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হিজবুল্লাহ জন্মলগ্ন থেকেই ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংসের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিগত দশকগুলোতে সীমান্ত অঞ্চলে ইসরায়েলের সঙ্গে বিভিন্ন সংঘাতে জড়িয়েছে হিজবুল্লাহ, তবে উভয়পক্ষের সংঘাত গুরুতর রূপ নিয়েছে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর হামাসের প্রতি সংহতি জানিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া শুরু করে হিজবুল্লাহ। পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করে ইসরায়েলও।

প্রায় এক বছর ধরে সীমান্তে সংঘাত চলার পর গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী। সেই অভিযান শুরুর ১০ দিনের মধ্যে নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা ও সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসরুল্লাহসহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ কমান্ডার। এতে গোষ্ঠীটির চেইন অব কমান্ডের সর্বোচ্চ স্তর প্রায় ভেঙে পড়ে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত লেবাননে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।

 

কালের সমাজ/এ.স./সাএ

 

Side banner