চীনা পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনের পক্ষ থেকে মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশে উন্নীত করার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন ২০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে শুরু করলেও, তা ধাপে ধাপে ৩৪, ৫০, ২১ ও ১৪৫ শতাংশ বাড়িয়ে সর্বশেষে এসে দাঁড়িয়েছে ২৪৫ শতাংশে।
শুল্ক যুদ্ধের পেছনের ঘটনা
চীন প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৮৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। এর জবাবে গত ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। একদিন পরেই চীন ১২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ট্রাম্প আবারও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন।
স্মার্টফোন ও চিপস খাতে শুল্ক আসছে
রবিবারের এক ঘোষণায় ট্রাম্প জানান, তিনি খুব শিগগিরই সেমিকন্ডাক্টর পণ্য—বিশেষ করে স্মার্টফোন ও কম্পিউটার—এর ওপর শুল্ক আরোপ করবেন।
সোমবার ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ওষুধ এবং চিপস—এই দুই খাতে বিদেশী উৎপাদনের ওপর নির্ভরতা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে চিহ্নিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ১৯৬২ সালের বাণিজ্য সম্প্রসারণ আইনের ২৩২ ধারা ব্যবহার করে এই শুল্ক আরোপের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ব অর্থনীতিতে ধাক্কা
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের শুল্ক যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় রকমের মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) পূর্বাভাস দিয়েছে,২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি ২.৮% হলেও, ২০২৫ সালে তা নেমে আসতে পারে ২.৩%-এ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) সতর্ক করে বলেছে, আগে পণ্য বাণিজ্যে ২.৭% প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা ছিল,
কিন্তু ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতির কারণে তা ০.২% হ্রাস পেতে পারে।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :