চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্রতর করলো যুক্তরাষ্ট্র। এবার চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশের ওপর ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তবে চীনকে এই ছাড়ের বাইরে রাখা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমে চীনের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক নথিতে জানানো হয়, অতিরিক্ত ২০ শতাংশ যুক্ত করে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউস সূত্রে জানা গেছে, পারস্পরিক শুল্ক আরোপের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য কয়েক ডজন দেশের ক্ষেত্রে ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেও, চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বে যুক্তরাষ্ট্র আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়া
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র মার্কিন সিদ্ধান্তকে “অপমানজনক” বলে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, “চীন শেষ পর্যন্ত লড়বে।” এরই মধ্যে বুধবার (৯ এপ্রিল) চীন মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ৮৪ শতাংশে উন্নীত করেছে।
এছাড়া চলতি বছরের মার্চে প্রথম দফায় ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পরে ২ এপ্রিল সেই হার বাড়িয়ে ৩৪ শতাংশ করেন। তার জবাবে ৩ এপ্রিল চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর একই হারে শুল্ক আরোপ করে।
ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি ছিল, “বেইজিং যদি ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে সব ধরনের চীনা পণ্যের ওপর রপ্তানি শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে।” সেই অনুসারেই ৯ এপ্রিল থেকে শুল্ক বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছে।
বিশ্লেষণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্ক যুদ্ধের ফলে উভয় দেশের আমদানি-রপ্তানি ব্যয় বৃদ্ধি পাবে, যা শেষমেশ সাধারণ জনগণ ও বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
আসন্ন মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতি আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এখন দেখার বিষয়, চীন কী ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায় এবং এ বাণিজ্য যুদ্ধ কোনদিকে মোড় নেয়।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :