গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৪০ ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক। ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার ৯০০ জনে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বশেষ হামলায় আহত আরও ১৪৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘাত শুরুর পর থেকে গাজায় মোট আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৮০০ জন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, বহু মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন কিংবা রাস্তায় পড়ে আছেন। উদ্ধারকর্মীরা এখনও তাদের কাছে পৌঁছাতে পারেননি।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ থেকে হামাসের সঙ্গে মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এই নতুন ধাপে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৫২২ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৩ হাজার ৮০০ জন।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু সেই শান্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মাত্র দুই মাসের মাথায় ফের আগ্রাসন শুরু হয়।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ইসরায়েলের হামলার কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন এবং ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গাজায় চলমান আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও গণহত্যার মামলা চলছে।
মানবিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা গাজাবাসীর জন্য জরুরি সহায়তা ও একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :