ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১

ইসরায়েলি বাহিনী হামলায় গাজায় ৫৩ ও লেবাননে ২১ জন নিহত

কালের সমাজ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক অক্টোবর ২৮, ২০২৪, ১১:৩১ এএম ইসরায়েলি বাহিনী হামলায় গাজায় ৫৩ ও লেবাননে ২১ জন নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরো অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ছাড়ালো ৪২ হাজার ৯২০।এছাড়া লেবাননেও নিরলস হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আরো ২১ লেবানিজ নিহত হয়েছেন।

সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় কমপক্ষে আরো ৫৩ জন এবং লেবাননে ২১ জনকে হত্যা করেছে। রোববার গাজাজুড়ে হওয়া ইসরায়েলি হামলায় ঐ ৫৩ জন নিহত হন। মৃত এস ফিলিস্তিনির মধ্যে ৪৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলে।

এছাড়া গাজার আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা এবং গণগ্রেফতারের মাধ্যমে চলমান হামলা ও অবরোধ আরো জোরদার করেছে।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসক হুসেইন আল-হালাবি বলেছেন, “ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আসমা স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। আহত বিপুল সংখ্যক মানুষকে আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আটকা পড়ে রয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন আহত। এই স্কুলটি জাবালিয়া এবং গাজা শহরের পশ্চিম এলাকা থেকে বাস্তুচ্যুত লোকেদের আশ্রয়স্থল ছিল।”

গত চার সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিছু মেডিকেল সূত্র আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, এই সময়ে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে রোববার লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় আরো ২১ জন নিহত হয়েছেন। মূলত গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতের পাশাপাশি লেবাননজুড়ে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে এই হামলা চলছে।

হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।

এর আগের সপ্তাহে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ৫৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করা হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যেই আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

 

কালের সমাজ/এ.স./আ.য

Side banner