ফিলিস্তিনের গাজায় গত মাসে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে চলা হত্যাযজ্ঞের সমাপ্তি ঘটেছে। তবে এরপরও লাশের মিছিল শেষ হয়নি। ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে নিহতদের মরদেহ। এরই অংশ হিসেবে সবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১৮ মরদেহ। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫০০ ছাড়িয়ে গেছে।সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এর ফলে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৪৭ হাজার ৫১৮ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও ২০ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এতে করে ইসরায়েলি আক্রমণে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৬১২ জনে পৌঁছৈছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
এদিকে, গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস গত রোববার জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৬১ হাজার ৭০৯ জন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ১৪ হাজার ২২২ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১৫ মাসের আগ্রাসনের পর ১৯ জানুয়ারি বহুল কাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায়। তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং স্থায়ী শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রাও রয়েছে।
কালের সমাজ/এ.স./সাএ
আপনার মতামত লিখুন :