কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দীর্ঘদিন ধরেই দেশের রাজনীতির মাঠে ভালো সময় কাটছে না । বিরোধীরা তো বটেই, দলের মধ্যে থেকেই উঠছে তার পদত্যাগের দাবি। এমন অবস্থায় শোনা যাচ্ছে- পদত্যাগ করতে চলেছেন কানাডার এই প্রধানমন্ত্রী।সোমবারের মধ্যেই এমন ঘোষণাও আসতে পারে। বেশকিছু সূত্রের বরাত দিয়ে কানাডার সংবাদমাধ্যম গ্লোব অ্যান্ড মেইলের রিপোর্টে এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
সূত্রগুলো গ্লোব অ্যান্ড মেইলকে বলেছে, তারা নিশ্চিতভাবে জানেন না যে- ট্রুডো কখন তার চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। তবে তারা আশা করেন, বুধবার অনুষ্ঠিতব্য প্রধান একটি জাতীয় ককাস বৈঠকের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন তিনি।
গ্লোব অ্যান্ড মেইলের রিপোর্টে আরো বলা হয়, ট্রুডো এখনই তার পদ ছেড়ে চলে যাবেন নাকি নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির নেতা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সেই সময় কানাডিয়ান এই দলটি গভীর সমস্যায় পড়েছিল এবং প্রথমবারের মতো হাউস অব কমন্সে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অবশ্য এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, ট্রুডোর সম্ভাব্য এই পদত্যাগের খবর এমন সময়ে সামনে এলো, যখন জরিপগুলোতেও দেখা যাচ্ছে যে- চলতি বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে হওয়া নির্বাচনে লিবারেলরা রক্ষণশীলদের কাছে খারাপভাবে হেরে যাবে। অবশ্য ট্রুডোর পদত্যাগের ফলে নতুন সরকার গঠনের জন্য দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান জানানোরও সম্ভাবনা রয়েছে।
কালের সমাজ/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :