পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোর তাণ্ডবে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৯৪ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭৬৮ জন। রোববার দেশটির জাতীয় ঝুঁকি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ লাখ ২২ হাজারেরও বেশি মানুষ।
১৫ ডিসেম্বর ২৬০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ এবং ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নিয়ে চিডো মোজাম্বিকে আঘাত হানে। এটি প্রথমে ভারত মহাসাগরের ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োত, এরপর মোজাম্বিক, মালাওয়ি ও জিম্বাবুয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যায়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, আফ্রিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার আগে ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ মায়োতে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় চিডো। সেখানে ৩৫ জনের বেশি মানুষ নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছেন। মায়োতে আঘাত হানার পর এই ঝড় মোজাম্বিকে তাণ্ডব চালায়। এতে দেশটিতে ১১ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে।
দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলেছে, সাগর থেকে ঝড়টি মোজাম্বিকে ওঠে আসার পর দেশের উত্তরাঞ্চলের কাবো ডেলগাডো প্রদেশে ঘণ্টায় প্রায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগের বাতাস নিয়ে তাণ্ডব চালায়। এই ঝড়ের ফলে ওই অঞ্চলে একদিনে ২৫০ মিলিমিটার (১০ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে।
উত্তর মোজাম্বিকের ওই অঞ্চলটিতে নিয়মিত গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় আঘাত হানে। দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতায় বিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে ঝড়ের তাণ্ডব নতুন করে বিপর্যয় তৈরি করেছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে মোজাম্বিকে ৫ লাখ থেকে ৬ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছ্নে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানব-সৃষ্ট জলবায়ু সংকটের কারণে মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোর প্রভাব তীব্র হয়েছে। এই ঝড়টির কেন্দ্র ছিল কাবো ডেলগাডো অঞ্চল।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তোলা ছবিতে দেখা যায়, ঝড়ে বিধ্বস্ত মোজাম্বিকের মেকুফি জেলার একটি মসজিদের ছাদ উড়ে গেছে।
কালের সমাজ/আ.য
আপনার মতামত লিখুন :