ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

ইবিতে গাছ কেটে হচ্ছে মুক্তমঞ্চ, ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা

কালের সমাজ অক্টোবর ১০, ২০২৪, ০১:০৬ পিএম ইবিতে গাছ কেটে হচ্ছে মুক্তমঞ্চ, ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষার্থীরা

রোববার (৩ মার্চ) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় তিনটি গাছ কাটা হয়েছে।
জানা যায়, বটতলার নিজস্ব সৌন্দর্য বৃদ্ধিসহ পুরো বটতলা এলাকায় ছায়া দিতো এ গাছগুলো। এতে নানান সময় আড্ডার জন্য এখানে বসে শিক্ষার্থীরা পেতো স্বস্তি। এই অবস্থায় গাছগুলো কেটে প্রশাসনের আগ্রাসনের কারণে নিজস্ব সৌন্দর্য হারিয়েছে বটতলা। এদিকে নতুন মুক্তমঞ্চ থেকে প্রায় ৩০ মিটার দূরত্বে দুটি একাডেমিক বিল্ডিং রয়েছে। দুটি একাডেমিক বিল্ডিংয়ে অন্তত এক ডজন বিভাগের ল্যাব ও ক্লাস রুম রয়েছে।
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্লাস রুমের কাছে মুক্তমঞ্চ তৈরি হলে আমাদের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হচ্ছে, শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা। অবিলম্বে মুক্তমঞ্চ অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফা ইসলাম ভাবনা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীন গাছগুলো আমাদের সম্পদ। এগুলো সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যদি খুব প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এই গাছগুলো কাটতে হয় তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এরকম গাছ কাটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এ বিষয়ে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শরিফ মো. আল-রেজা বলেন, বটতলায় প্রোগ্রাম হলে আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় ডিস্টার্ব হয়। তারপর যদি আবার একই এলাকায় মুক্তমঞ্চ তৈরি করা হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের ক্লাস পরীক্ষায় আরও ডিস্টার্ব হবে। আমাদের দাবি থাকবে এটা যাতে অন্য জায়গায় করা হয়।


বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন অভয়ারণ্যের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ ইমন বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। আমাদের আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেনও আর একটি গাছেও হাত না দেয়।’


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ. কে. এম শরীফ উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে একটি কাজ দিয়েছিল। আমি ওই কাজের চাহিদা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।


এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি প্রক্টরের কোন ফাংশন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবে।’ 


এস্টেট অফিসের দায়িত্বরত উপ-রেজিস্ট্রার শামসুজ্জামান জোহা এ বিষয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অনুমতি নিয়ে গাছগুলো কাটা হয়েছে। এখানে আমার ব্যক্তিগত কোন সিদ্ধান্ত নেই।’


বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন ধরেন নি।’

কালের সমাজ//এ.সং//র.ন

Side banner