ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই

বিনোদন ডেস্ক ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ১০:৪৭ এএম সংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই

অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী পাপিয়া সারোয়ার। আজ (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। খবরটি নিশ্চিত করেছেন পাপিয়া সারোয়ারের স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, প্রয়াতের মরদেহ আজ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। কাল জুমার নামাজের পর জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছেন তিনি। চার দিন ধরে ঢাকার তেজগাঁওয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। এর আগে কয়েক দিন ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না, চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চলে গেলেন গুণী এই শিল্পী। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্বামী ও দুই সন্তান রেখে গেছেন।

মেয়ে জারা সারোয়ার কলেজ অব নিউ জার্সিতে জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক এবং ছোট মেয়ে জিশা সারোয়ার কানাডার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন নির্বাহী।

পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। পরে ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারত যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান। আর এর আগে তিনি ১৯৬৬ সালে ছায়ানটে ওয়াহিদুল হক, সনজীদা খাতুন এবং জাহেদুর রহিমের কাছে এবং পরবর্তীতে বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে সংগীতদীক্ষা নেন।

দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন। আধুনিক গানেও তিনি সফল। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।


পাপিয়া সারোয়ার ২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি থেকে রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ফেলোশিপ লাভ করেন। ২০২১ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।আধুনিক গানেও আছে তাঁর সাফল্য। ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম’ গানটি তাঁকে আপামর বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয়তা দিয়েছে।


কালের সমাজ/এ.স/আ.য

Side banner