ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া ও ভাদাইল এলাকায় কিশোর গ্যাং, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অভিযোগ উঠেছে, এসব অপরাধীরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার মতো অপরাধ করে চললেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জানা যায়, জামগড়া রূপায়ন মাঠে শতাধিক কিশোর দেশীয় অস্ত্রসহ মহড়া দিয়েছে। এর আগে মাদক সেবনের কারণে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী তাজিবুল মীর (৩১) মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় দায়েরকৃত মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও মামলার আসামিরা এখনও শাস্তি পায়নি বলে অভিযোগ পরিবারের।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ভাদাইল ও জামগড়া এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, মাদক ব্যবসা ও ধর্ষণের মতো অপরাধ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ঈদের পরে কিশোর গ্যাং গুলো আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয় সাংবাদিকরা এসব অপরাধের খবর প্রকাশ করলে তাদের হুমকি ও হামলার মুখে পড়তে হচ্ছে।
ভিকটিম তাজিবুল মীরের খালাতো ভাই রনি জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অফিসে উপস্থিত হয়ে তিনি মদ্যপানের আলামত দেখেছেন এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছেন। বাদী মো. ওয়াহিদ মীর বলেন, তার ছেলের কোনো শত্রুতা ছিল না, কেবল ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব থেকে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, কিছু অসাধু পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে মাদক নির্মূল অভিযান কার্যকরভাবে সফল হচ্ছে না। পুলিশের কিছু সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
তবে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও র্যাবের দাবি, মাদক ও কিশোর গ্যাং দমনে অভিযান চলছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তারা আরও জানিয়েছে, বহিরাগত কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকা করে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার প্রশ্ন তুলেছেন, আসলে কী তাজিবুল মীর হত্যার বিচার হবে? অপরাধীরা কী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে?
কালের সমাজ//হে.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :