ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক

স্ত্রীকে হত্যার পর শশুরকে ফোন করে পালিয়েছে স্বামী

কায়সার আহমেদ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি এপ্রিল ২৪, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম স্ত্রীকে হত্যার পর শশুরকে ফোন করে পালিয়েছে স্বামী

গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাক শ্রমিক স্ত্রী নাদিরা আক্তারকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার পর শ^শুরকে ফোন করে পালিয়েছে স্বামী। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। শ্রীপুরের চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নাদিরা আক্তার ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নের ঝিকাতলা (মাইজহাটি) গ্রামের আমিনুল ইসলামের স্ত্রী। নাদিরা মাওনা পাতারপাড় এলাকার ক্রাউন অ্যাপারেলস পোশাক কারখানায় চাকরি করতো। সে তার স্বামীর সাথে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের বাড়ীতে দীর্ঘ ছয় বছর যাবত ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছে।

ঘাতক আমিনুল ইসলাম একই গ্রামের ফখর উদ্দিনের ছেলে। সে স্থানীয় আনন্দবাজার এলাকার স্টীল মার্ক কারখানায় চাকরি করতো।

নাদিরার ছোট ভাই রাজিব মিয়া জানান, তিনি এবং তার বোন স্বামীকে নিয়ে একই মালিকানাধীণ বাড়ীতে ভাড়া থাকেন। সকালে তিনি কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তার বোনের ঘরের দরজা বাহির থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তালাবদ্ধ ঘর দেখে মনে করছিলাম আপা কর্মস্থলে চলে গেছে। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তার বাবা তাকে ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে কারখানা থেকে বাসায় এসে দেখেন তার বোনের ঘর তালাবদ্ধ। পরে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে দেখেন বোনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছে। দুলাভাই আপাকে হত্যা করে বাহির থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে চলে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই দুলাভাই আপাকে বিভিন্ন বিষয়ে মারধর করত। আপাকে হত্যার পর সে বাবাকে বোনকে ফোন করে জানায় এবং লাশ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে লাইন কেটে দেয়। আমার বোনকে বিয়ে করার আগেও সে আরেকটা বিয়ে করেছিল। প্রথম স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে সে জেল খেটেছিল। বিয়ের পর আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ বলেন, বাড়ীর মালিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাহির থেকে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে পুলিশ তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে মেঝেতে নাদিরা আক্তারের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। মরদেহের পাশে রক্তমাখা দা পড়েছিল। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

 

কালের সমাজ//গা.স//এ.জে
 

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর