ঢাকা সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

সলঙ্গার ৮ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা

ফারুক আহমেদ, সিরাজগঞ্জ এপ্রিল ২১, ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম সলঙ্গার ৮ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দ, প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থেকে তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি এলাকায় আব্বাস আলীর বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের সর্বত্র খানাখন্দ আর বড় বড় গর্তে চলাচল কার্যত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।

স্থানীয়রা জানান, আমশড়া জোরপুকুর বাজার থেকে সলঙ্গা সদরে পৌঁছাতে যেখানে স্বাভাবিক সময়ে ১৫ মিনিট লাগে, সেখানে এখন সময় লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটিতে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত, উঠে গেছে পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে আছে পাথর। এসব কারণে গাড়ি ব্রেক করলে স্লিপ করে দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয় বাস, ট্রাক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করে। ফলে যানবাহনের চাপে এবং রাস্তার গর্তে পড়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

সিএনজিচালক আল-আমিন হোসেন বলেন, “সড়কে বড় গর্তের কারণে আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। চালাতে গিয়ে উল্টে যাওয়ার ভয় থাকে সবসময়।”

এইচ কে ট্রাভেলসের চালক মাসুদ রানা বলেন, “সলঙ্গা থেকে আব্বাস আলীর বাড়ি সংলগ্ন ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, গাড়ির স্প্রিং ভেঙে যায়, স্টিয়ারিংয়ের জয়েন্ট খুলে যায়। মাঝে মাঝেই গাড়ি খাদেও পড়ে যায়।”
পিকআপ চালক কাওছার মাহমুদ অভিযোগ করেন, “দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ ভালোভাবে কাজ করেন না। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার কোনো সংস্কার হয়নি। এখন বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের কারণে গাড়ি চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তবে আশার খবর হলো—সড়কটি চার লেন করার দাবির পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে জরিপ ও পরিমাপের কাজ শুরু করেছে। এতে কিছুটা আশাবাদী হয়ে উঠেছেন এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।

স্থানীয়দের দাবি, সড়কটির দ্রুত সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শুরু না হলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।

 

কালের সমাজ//সি.প্র//এ.জে

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর