রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে এক নারীর কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। ঘটনার পর থানায় মামলা হলে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে নিশ্চিত করেন রাজবাড়ী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ শরিফ আল রাজীব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দুলকুন্ড গ্রামের পান্নু বেপারী (২৯), উতলি গ্রামের রাজু মাতুব্বর (৩২), সাজু মাতুব্বর (২৮) এবং কুদ্দুস তালুকদারের ছেলে মাসুদ তালুকদার (৩৫)। এরা সকলে আন্তঃজেলা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ এপ্রিল প্রতিভা রানী দাস নামের এক নারীর মোবাইল নম্বরে অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। কলকারী নিজেকে সোনালী ব্যাংকের হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। একই দিন বিকেলে আরেকজন কল করে ভুক্তভোগীর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত নানা তথ্য জানতে চায় এবং তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি পাঠাতে বলে। পাশাপাশি জানায়, তার মোবাইলে একটি ওটিপি কোড আসবে, যা জানানো প্রয়োজন। সরল বিশ্বাসে ভুক্তভোগী নারী ওটিপিগুলো জানিয়ে দেন। পরে তার অ্যাকাউন্ট থেকে সাতটি ধাপে মোট ৮ লক্ষ টাকা তুলে নেয় প্রতারকরা।
পরবর্তীতে ১৮ এপ্রিল ভুক্তভোগী নারী বালিয়াকান্দি থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর বালিয়াকান্দি থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি যৌথ দল ১৯ এপ্রিল ভোরে ফরিদপুরের কালামৃধা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি স্মার্টফোন, ২টি বাটন ফোন, ২টি সিম ও ১৬টি বিভিন্ন অপারেটরের সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে এই ধরণের প্রতারণার সঙ্গে জড়িত এবং নিজেদের ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে ওটিপি সংগ্রহ করে অর্থ আত্মসাৎ করে থাকে।”
তিনি আরও জানান, আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং তাদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে। আত্মসাৎ করা টাকা উদ্ধারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
কালের সমাজ//রা.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :