ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

গোয়ালন্দে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নারীর অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি,রাজবাড়ী এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম গোয়ালন্দে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে নারীর অভিযোগ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার সোনালী ব্যাংকের উপজেলা কমপ্লেক্স শাখার ম্যানেজার মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে পারভীন আক্তার নামের এক নারী সোনালী ব্যাংক রাজবাড়ী শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। গত ৯ই এপ্রিল তিনি এই অভিযোগটি করেন। 

অভিযোগকারী নারী পারভীন আক্তার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বাসিন্দা।

অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্সে শাখায় তার একটি একাউন্ট রয়েছে। সেই একাউন্টে সে দীর্ঘদিন লেনদেন করে আসছে এবং একই শাখায় তার একটি ডিপোজিট আছে যার পরিমান ৮ লক্ষ টাকা।যা সে ২০২০ সালের ১৫ই জুলাই রেখেছিলো এবং মেয়াদ শেষ হতে আর ৩ মাস বাকি আছে।এছাড়াও ওই নারীর নামে একই ব্যাংকের শাখায় ২ লক্ষ টাকার ঋণ নেওয়া আছে। তার মধ্যে কিস্তি ৪ টি বাকী রয়েছে।

চলতি মাসের ৬ই এপ্রিল পারভীন আক্তার নামের ওই নারী ব্যাংকে ১০ হাজার টাকার কিস্তি দিতে গেলে ব্যাংকের ম্যানেজার কিস্তি না নিয়ে বিভিন্ন ভাবে তাকে হারেজমেন্ট করে। এছাড়াও ঋণ নেওয়ার পর থেকেই ব্যাংকে কিস্তি দিতে গেলে ব্যাংকের ম্যানেজার মোতাহার হোসেন তার দিকে খারাপ দৃষ্টি সহ শারীরিক ভাবে ভোগ করার চেষ্টা সহ নানা ভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দেয়।এ ঘটনার পর থেকে ভুুক্তভোগী নারী তার ৮ লক্ষ টাকার ডিপোজিটের লভ্যাংশ থেকে ঋণের কিস্তির টাকা কর্তন করে নিতে বললে ব্যাংকের ম্যানেজার সেটা না নিয়ে তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে।

অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী আরও উল্লেখ করেন, ওই ম্যানেজার তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি প্রদান করে এবং কু প্রস্তাব দিতে থাকে। এছাড়াও একই ব্যাংকের শাখায় ভুক্তভোগী নারীর আপন বোনের একটি একাউন্ট রয়েছে যা ওই ম্যানেজার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং একাউন্টটি সে পরবর্তীতে বন্ধ করে দেই।এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী ব্যাংকের ম্যানেজারের কাছে একাউন্ট বন্ধের বিষয়ে জানতে গেলে ওই ম্যানেজার তাকে বলে একান্ত ভাবে সময় না দেওয়ার কারণে সে একাউন্ট বন্ধ করে রেখেছে।এছাড়াও অভিযোগকারী নারীর ডিপোজিটের টাকাও ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেই। পরবর্তীতে ম্যানেজার তাকে ডিপোজিটের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ব্যাংকে ডেকে নিয়ে যায়।অভিযোগকারী নারী ব্যাংকে গেলে ম্যানেজার তাকে না জানিয়ে ব্যাংকে রাখা ৮ লক্ষ টাকার মধ্যে ওই নারীকল ৭ লাখ ২১ হাজার ৯২০ টাকা প্রদান করেন।

অভিযোগকারী ওই নারী পারভীন আক্তার বলেন, ব্যাংকের ম্যানেজার আমাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতো।আমি তার কু প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এ কারনে সে আমাকে হুমকিধামকি দিয়েছে।সে আমার ওপর শোধ নিতে আমার জমাকৃত ডিপিএস মেয়াদ শেষ হবার আগেই সে টাকা ভেঙে আমাকে দেই।আমার ডিপিএস এর জমাকৃত আট লক্ষ টাকার যে লভ্যাংশ পেয়েছি সে টাকা কর্তন করে আমাকে দেই।এখন আমি আমার এই ঘটনার সুনিদিষ্ট বিচার প্রার্থনা করছি।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সোনালী ব্যাংক পিএলসি শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাবিব বলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা কমপ্লেক্সে শাখার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে এক নারী আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ জামা দিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।নারীর ওই অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

কালের সমাজ// রা.প্র//এ.জে

Side banner