ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
মুক্তিযুদ্ধের অপারেশন নিয়ে

বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের প্রতিবাদে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন

মঞ্জু হোসেন, রংপুর এপ্রিল ১৯, ২০২৫, ০৩:০২ পিএম বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের প্রতিবাদে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নেতৃত্বে সংঘটিত অপারেশন নিজের নামে চালিয়ে ‍‍`স্মৃতিতে রণাঙ্গণ‍‍` বইয়ে প্রকাশ করায় প্রতিবাদ ও সংশ্লিষ্ট লেখকের মুখোশ উন্মোচন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রংপুর জেলা ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনজুরুল ইসলাম (জুনিয়র লিডার)।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় রংপুর শহরের এক হোটেল মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন—তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ৬ নম্বর সাব সেক্টরে একটি অপারেশনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যেখানে চিলাহাটি-মির্জ্জাগঞ্জ রেলওয়ে লাইনের ২০৮ নম্বর ব্রিজ ধ্বংস করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের একটি বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল এই অভিযান সম্পন্ন করে।

তিনি বলেন, "আমি ডেমোলিশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে জুনিয়র লিডার হিসেবে ২০৮ নম্বর ব্রিজ ধ্বংস করি। আমার সঙ্গে ছিলেন মতিউর রহমান চৌধুরী, খন্দকার গোলাম কিবরিয়া, মো. আব্দুল লতিফ, মো. শাহ আলমসহ আরও কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।"

তবে রংপুর জেলা প্রশাসক মো. আসিব আহসান এর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ‍‍`স্মৃতিতে রণাঙ্গণ‍‍` গ্রন্থে মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম নামীয় এক ব্যক্তি এই অপারেশনের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেন মনজুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, “সিরাজুল ইসলাম ওই অপারেশনে অংশ নেননি। তিনি শুধু সাধারণ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, কোনো বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নন। অথচ ওই বইয়ে তিনি নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এটি ইতিহাস বিকৃতি।”

মনজুরুল ইসলাম আরও বলেন, “বই প্রকাশের সময় আমাকে বিএনপি সমর্থক আখ্যা দিয়ে প্রকাশনা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেন এবং সংশোধনের আশ্বাস দিলেও তা আর বাস্তবায়ন হয়নি।”

সংবাদ সম্মেলনে তিনি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুবিচার ও ‘স্মৃতিতে রণাঙ্গণ’ বইয়ে সংশোধনী প্রকাশের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মো. গোলাম কিবরিয়া, শামসুল, গোলাম রব্বানীসহ ৭-৮ জন সহযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁর বক্তব্যের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন।

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner