সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় গরু খাদ্য খড়ের দাম বেড়েছে। এক মণ খড় সাড়ে আটশো থেকে নয়শো টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। আর আটি বাধা একশো আটি খড় আটশো থেকে নয়শো টাকায় কেনাবেচা হচ্ছে। এক মুঠো খড় কেনাবেচা হচ্ছে নয় টাকায়। রায়গঞ্জ ও তাড়াশ সহ উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খড় ব্যবসায়ীরা বলেন গরু খাদ্য খড়ের দাম, মোকামেই বেড়েছে। তাদের বেশি দামে কেনা পড়ছে বলে বেশি দামে বেঁচছেন। এদিকে খড়ের বেশি দামে গরু পালনে খরচ বেশি হচ্ছে বলে লালন পালনকারীরা জানান।
তিনটি উপজেলায় বহু সংখ্যক গো-খামার রয়েছে। এ ছাড়া গ্রামগুলোয় প্রায় প্রতিটি গৃহস্থ পরিবারে দুচারটি করে গরু লালন পালন করা হচ্ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা বাজার, উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার, তাড়াশ উপজেলার ঝুরঝুরি পাকার মাথা নামক বাজারসহ আরো বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসায়ীরা সারা বছরই খড় বিক্রি করে থাকেন। জানা গেছে, গত বিশ দিন আগেও এক মণ খড় সাতশোথেকে সাড়ে সাতশো টাকায় কেনাবেচা হয়েছে। তবে বর্তমানে খড়ের বোঝা বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে পয়ত্রিশো থেকে চার হাজার টাকায়।
ঝুরঝুরি পাকার মাথা নামক বাজারে খড় কিনতে আসা বেশ কজনের মধ্যে আব্দুল মালেক, ফারুক, ইদ্দিস মিয়া, বলেন, তাদের মজুদ খড় ফুরিয়ে যাওয়ায় এখন কিনে গরুকে খাওয়াতে হচ্ছে।
তবে খড়ের দাম বাড়তে থাকায় গরু লালন পালনে তাদের খরচ বাড়ছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা সলঙ্গার খড় ব্যবসায়ী মো. ময়েন উদ্দীন, তাড়াশ উপজেলা ঝরঝুরি বাজারের খড় ব্যবসায়ী মোত্তাআলেব মিয়া জানান, চাপাইনবাবগঞ্জ, নওগা জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে খড় কিনে এনে বিক্রি করছেন। মোকামগুলোয় খড়ের দাম বেড়েছে। সেখান থেকে তাদেরকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে এখানে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
তিনটি উপজেলায় বিভিন্ন অঞ্চলের মাঠগুলোয় বোরো (ইরি) ধান এখন কাইচ থোড়। এলাকায় অল্প কিছু দিনের মধ্যে এ ধান ফসল কাটা শুরু হলে তখন খড়ের দাম কমবে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :