আজ ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন। আর এই নববর্ষ ঘিরেই নানা জায়গায় করা হয়েছে নানা আয়োজন। কিন্তু কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই পহেলা বৈশাখের আমেজ। কারণ বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখের বদলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে এবারের বাংলা বর্ষবরণ করা হবে ৩ বৈশাখ।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩২ উৎসব উদযাপন কমিটির আহবায়ক ড. মোঃ মনজুর রহমান ও সদস্য সচিব মোহাঃ শামীম আকতার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়৷ কিন্তু এতে করে বাংলা নববর্ষের আয়োজন তেশরা বৈশাখে করার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভাইস-চ্যান্সেলর মহোদয় কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এবং উদযাপন কমিটির ব্যবস্থাপনায় আগামী ৩ বৈশাখ, ১৪৩২ (১৬ এপ্রিল) বুধবার বাংলা বর্ষবরণ উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে সজ্জিত হয়ে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মির্জা শাহরিয়ার বলেন, জাতীয়ভাবে আজকে ছুটি অথচ আজকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে না। উল্টো অনুষ্ঠান হবে ১৬ তারিখে যেদিন আমাদের অনেকের ক্লাস পরীক্ষা থাকবে। তাহলে আমরা কিভাবে বর্ষবরণের সেই আনন্দ উৎসব উপভোগ করব? বাংলা মঞ্চে নববর্ষের অনুষ্ঠান হলেও আমরা হয়তো ক্লাসে হোয়াইট বোর্ডের দিকে তাকিয়ে থাকবো। ছুটি দেওয়ার উদ্দেশ্যই হচ্ছে অফিস আদালতের ব্যস্ততা পাশে রেখে মানুষ যেন দিনটি উৎযাপন করতে পারে। ছুটির দিনে কেউ অনুষ্ঠান দেখতে আসবে না এমনটা ভাবলে ছুটি না দিলেই ভালো হতো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা বর্ষবরণ-১৪৩২ উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান বলেন, অবশ্যই আজক করতে পারলে ভালো হতো, আমাদের মনে এইদিনটাই গেথে আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দুটি শহরের মধ্যবর্তী অঞ্চলে হওয়াতে ছুটির দিনে ক্যাম্পাসে উপস্থিতি অনেক কম থাকে, ছুটির দিনে দর্শনার্থীরা আসতে চায় না। তাই আমরা এই আয়োজনটি ১৬ তারিখ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ বিষয়ে উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, প্রকৃতপক্ষে যেদিন নববর্ষ শুরু সেদিনই এই উৎসব পালন করলে ভালো হতো বলে আমি মনে করি। অন্যথায় পরবর্তীতে আর উৎসবের দিনের মতো সেইরকম আনন্দ বা স্পৃহা থাকে না। কিন্তু উপাচার্য মহোদয়ের কাছ থেকে জানা গেছে যে সেদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কম থাকবে তাই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :