ঢাকা মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

কয়রায় পুত্রবধূর দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন, মারধরের অভিযোগ

এইচ. এম. লিটন, কয়রা,খুলনা প্রতিনিধি এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম কয়রায় পুত্রবধূর দাবিতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর অনশন, মারধরের অভিযোগ

খুলনার কয়রায় পুত্রবধূর স্বীকৃতির দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অনশনে বসা এক অন্তঃসত্ত্বা নারী হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত অবস্থায় তাঁকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের ষোলহালিয়া গ্রামে। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমজাদ হোসেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশোডাঙ্গা গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা নারী কুলসুম বেগম (৬ মাসের গর্ভবতী) দাবি করেন, গত বছরের ২৪ জুন ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক তাঁর বিয়ে হয় আমজাদ হোসেনের ছেলে আল মামুনের সঙ্গে। তবে এই বিয়ে মেনে নিতে রাজি হননি আল মামুনের পিতা আমজাদ হোসেন।

পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে কুলসুমকে স্বীকৃতি দিয়ে স্বামীর বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং লিখিত আপোষনামাও হয়। কিন্তু তারপরও কুলসুমকে গ্রহণ না করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

সন্তানের অধিকার ও পুত্রবধূর স্বীকৃতি পেতে রবিবার সকালে আমজাদ হোসেনের বাড়িতে অনশনে বসেন কুলসুম। এ সময় তার সঙ্গে থাকা মাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

কুলসুম অভিযোগ করে বলেন, “আমি আমার স্বামী আল মামুনের ঘরে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার শ্বশুর আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। আমি এখন অন্তঃসত্ত্বা, আমি আমার স্বামীর অধিকার চাই। প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাই।”

অন্যদিকে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমজাদ হোসেন বলেন,

“সে আমার পুত্রবধূ নয়। আমরা তাকে মারধর করিনি। সে মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের হয়রানি করছে।”

ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও দ্রুত তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner