ঢাকা শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২
বান্দরবানে

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মারমা নববর্ষ ‘মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ’ উদযাপন

মোঃ সুমন খান ,পার্বত্য অঞ্চল এপ্রিল ১৩, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম বর্ণাঢ্য আয়োজনে মারমা নববর্ষ ‘মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ’ উদযাপন

বান্দরবানে রঙ-বেরঙের উৎসবের মধ্যে দিয়ে শুরু হলো মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় ও গুরুত্বপূর্ণ নববর্ষ উদযাপন ‘মাহাঃ সাংগ্রাই পোয়েঃ’। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা হয় এই আনন্দোৎসবের।

রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান শহরের রাজার মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়। জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বেলুন উড়িয়ে এই শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। শোভাযাত্রায় অংশ নেন জেলার বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষ, যারা ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে মাতৃভাষায় শুভেচ্ছা জানাতে জানাতে র‍্যালিতে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শেষ হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে (কেএসআই), যেখানে অনুষ্ঠিত হয় বয়স্ক পূজা অনুষ্ঠান।

জেলা প্রশাসক বলেন, “বান্দরবানসহ পার্বত্য অঞ্চলের ১১টি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বাংলাদেশের সামগ্রিক সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। এই উৎসব জাতিগত ঐক্য ও সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।”

তিনি আরও জানান, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত মূল শোভাযাত্রায় এবার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। এটি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করবে।

উৎসব উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, আট দিনব্যাপী এই উৎসব চলবে সামাজিক ও ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে। সোমবার থেকে রাজার মাঠে শুরু হবে চার দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী লোকজ মেলা। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশটি হলো পানি উৎসব বা জলকেলি—যেখানে একে অপরকে পানি ছিটিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।

আয়োজকরা জানান, নতুন বছরকে কেন্দ্র করে তারা নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে এই উৎসবে অংশ নিচ্ছেন এবং বান্দরবান এখন পরিণত হয়েছে এক বিশাল উৎসবের নগরীতে।

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner