ঢাকা রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

সরিষাবাড়ীতে কিশোরী ধর্ষন, অতঃপর ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত

কবীর আহমেদ, সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি এপ্রিল ১২, ২০২৫, ০১:২৭ পিএম সরিষাবাড়ীতে কিশোরী ধর্ষন, অতঃপর ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে জাহিদুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষন পরবর্তী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঐ কিশোরী ঔষধের প্রভাবে গর্ভপাতে মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের নাথেরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ পেয়ে বিকালে পুলিশ মৃত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

পরিবার ও স্থানীয়দের সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী আওনা ইউনিয়নের নাথেরপাড়া গ্রামের দরিদ্র সোহেল রানার মেয়ে। প্রতিবেশী সাইদুর রহমানের বিবাহিত ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ সোহেল রানার মেয়েকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো।

জাহিদুল ইসলামের আপন ছোট বোন সুর্বণা আক্তার ও ভুক্তভোগী ঐ কিশোরী এক ক্লাসে পড়াশোনা করতেন। সেই সুবাধে তারা দুজনেই খুব ভালো বান্ধবী ছিলেন। গত ২৪ সালের আগস্ট মাসের ১২ তারিখ দুপুরে বান্ধবীর সাথে জাহিদুলদের ঘরে যায় ঐ কিশোরী। পরে বোনের সহযোগীতায় ভাতের সাথে ঘুমের ঔষুধ দিয়ে ঐ কিশোরীকে ধর্ষণ করে জাহিদুল ইসলাম।

বিষয়টি কিশোরী বুঝতে পারলে পরিবারের কাছে জানাতে চায়। পরে জাহিদুল ইসলাম কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। ফলে কিশোরীর গর্ভে সন্তান দেখা দেয়। এতে গর্ভে সন্তানের বয়স হয়ে যায় ৭ মাস। বিষয়টি জাহিদুলকে জানালে সন্তান নষ্ট করতে বলে। এদিকে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য কৌশলে সুর্বণা আক্তার কিশোরীকে ঔষুধ খায়িয়ে দেন। পরে আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে নিজবাড়িতে কিশোরীর মৃত পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এঘটনায় শুক্রবার রাতে কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

কিশোরীর দাদী সূর্যভানু বলেন, ‘জাহিদুল নাতিটার সর্বনাশ করেছে। এখন তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। তারা টাকাওয়ালা মানুষ। আমরা কি সঠিক বিচার পাবো। কিশোরীর পিতা সোহেল রানা বলেন, ‘আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এই ধর্ষকের শাস্তি চাই।

ধর্ষণে শিকার হওয়া ভুক্তভোগী জানান, ‘জাহিদুল তাদের বিল্ডিং ঘরে আমাকে ধর্ষণ করে। কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। জাহিদুলের কথায় তার বোন ওষুধ খায়িয়ে আমার পেটে বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। আমি এই ধর্ষকের চূড়ান্ত শাস্তি চাই।

এ ঘটনায় বাড়ি থেকে সবাই গা-ঢাকা দিলেও অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের বোন সুর্বণা আক্তার বলেন, ‘আমি তার সাথে ২ মাস যাবৎ কথা বলিনা। তাকে কোন ঔষুধ খেতে দেয়নি।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. চাঁদ মিয়া জানান, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মৃত নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর