গাজীপুরে ভাসমান পান ও সিগারেট বিক্রেতা আল আমিন (৩৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একইসাথে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামী মাইদ হোসেন (২২)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুর পিবিআই-এর পুলিশ সুপার (এসপি) আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ৭ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা (পূর্বপাড়া) এলাকার একটি টিনসেড বাসায় চৌকির উপর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের গলায় গামছা পেঁচানো ছিল এবং দেহে পচন ধরায় তীব্র দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত আল আমিন শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া (ফকিরপাড়া) গ্রামের আসাব আলী মীরের ছেলে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে পান ও সিগারেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে পিবিআই। তদন্তে জানা যায়, আসামী মাইদ হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার লতিফপুর (খলিশাকুড়ি) গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। কাজের সন্ধানে গাজীপুরে এসে আল আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
পরবর্তীতে আল আমিন তাকে কাজ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। সেদিন রাতে তারা একসাথে ঘুমান। তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান জানান, ভোররাতে আল আমিন বিকৃত যৌন আচরণ করলে ব্যথা সহ্য করতে না পেরে মাইদ হোসেন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর গলায় গামছা পেঁচিয়ে মরদেহ চৌকির উপর ফেলে রেখে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মাইদ হোসেন হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি স্বীকার করে। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও প্রদান করেছে।
পিবিআই’র এসপি আবুল কালাম আজাদ বলেন, "এটি একটি নির্মম ও ঘৃণিত হত্যাকাণ্ড। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে একটি জীবন হরণ করেছে। তদন্তে সবকিছু পরিষ্কার হয়েছে এবং অভিযুক্ত আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।"
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :