ঢাকা রবিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

কয়রায় তরমুজ চাষে সাফল্যের মুখ দেখেছেন আহছাফূর

এইচ এম লিটন, কয়রা উপজেলা প্রতিনিধি এপ্রিল ৮, ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম কয়রায় তরমুজ চাষে সাফল্যের মুখ দেখেছেন আহছাফূর

খুলনা জেলার উপকূলবর্তী কয়রা উপজেলার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছেন এক সাহসী কৃষক আহছাফূর। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এই অঞ্চলে তরমুজ চাষ করে তিনি যেমন নিজের ভাগ্য বদলেছেন, তেমনি এলাকার মানুষের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন।

আহছাফূর জানিয়েছেন, এবছর তিনি আমাদী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১৭০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন এবং ইতোমধ্যে ভালো ফলনও পেয়েছেন। তার মতে, "অনেক চেষ্টা করেও চাকরি পাইনি, তাই শেষ ভরসা ছিল কৃষিকাজ। আল্লাহর রহমতে আমি সফল হয়েছি।"

নারীদের অংশগ্রহণ ও কর্মসংস্থান
তরমুজ চাষে কয়রার নারী-পুরুষ উভয়েরই অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের উপস্থিতি বেশি, যার একটি কারণ হলো নারীদের comparatively কম মজুরি। এরপরও নারীদের অভাবনীয় শ্রমই এই সাফল্যের অন্যতম ভিত্তি হয়ে উঠেছে।

উপজেলায় তরমুজ চাষের বিস্তার
কয়রা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪,২০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১,২০০ হেক্টর বেশি। চাষাবাদের এলাকা বিস্তৃত হয়েছে আমাদী, বাঙালি, মহেশ্বরিপুর, মহারাজপুর ও কয়রা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে।

তরমুজ চাষের মূল স্পটগুলোর মধ্যে রয়েছে:
আমাদী ইউনিয়নের — নকশা, হাতিয়ার ডাঙ্গা, হরিকাঠি, মসজিদকুড়, চাঁননির চক, শুড়িখালি, তালবাড়িয়া, ভাণ্ডাপোল, খিরল।
বাঙালি ইউনিয়নের — সরিষামুট, সোলহালিয়া, নারায়ণপুর, ঘুকরা ঘাটি, বগা।
এছাড়া মহেশ্বরিপুর, মহারাজপুর ও কয়রা সদর ইউনিয়নেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাষ হয়েছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
আহছাফূরের ভাষায়, “আগামীতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরও বেশি জমিতে চাষাবাদ করব। আশা করি এতে আয় আরও বাড়বে এবং এলাকার আরও মানুষ উপকৃত হবে।”

 

কালের সমাজ// এ.জে

Side banner

পথে-প্রান্তরে বিভাগের আরো খবর