গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিউদ্দিন খান ও তার সহযোগী উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা মামলার ভয় দেখিয়ে ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের কাছ থেকে টাকা ও এসি হাতিয়ে নিয়েছেন।
গোপালগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার হত্যাকাণ্ড পুঁজি করে কথিত মামলাবাণিজ্যে মেতেছেন তারা। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা অসংখ্য নিরীহ মানুষকে বিভিন্ন মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে হয়রানি করছে এবং লাখ লাখ টাকা আদায় করছে।
একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যায়, ওসি শফিউদ্দিন ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের কাছ থেকে এসি কেনার ব্যাপারে কথা বলছেন। কল রেকর্ডে শোনা যায়, ওসি জাকিরকে ২ টনের একটি এসি কিনে দিতে বলেন, এবং জানান যে, গোপালগঞ্জে না পাওয়া গেলে ঢাকা থেকে এসি এনে দিতে হবে।
এটি যাচাই করতে, গোপালগঞ্জ শহরের এলজি-বাটার ফ্লাই কোম্পানির শোরুম থেকে জানা গেছে যে, জাকির ২৩ মার্চ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে কিস্তিতে একটি এসি কিনেছেন। এছাড়া, ২ লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার মাছও ওসি শফিউদ্দিন খান তার কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য জাকির হোসেন জানান, ওসি তাকে একাধিকবার মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়েছেন এবং এসি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, "ঈদে ছেলে-মেয়েদের নতুন জামাকাপড় পর্যন্ত কিনতে পারিনি, কিন্তু ওসি এসি দাবি করেছেন, আর আমি বাধ্য হয়ে কিস্তিতে কিনে দিয়েছি।"
এ বিষয়ে, কাশিয়ানী থানার ওসি মো. শফিউদ্দিন খান বলেন, "এসবের কোনো সত্যতা নেই।" তিনি দাবি করেন, "কল রেকর্ডটি তার নয় এবং ইউপি সদস্যের সঙ্গে মোবাইলে কখনও কোনো কথা হয়নি।"
গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান এ বিষয়ে জানিয়েছেন, "তিনি বিষয়টি জানতে পেরেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে।"
এ ঘটনায় স্থানীয়দের অভিযোগ, কাশিয়ানী থানায় টাকা ছাড়া কোনো কিছুই হয় না, এবং ওসি আত্মীয়স্বজনের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন।
কালের সমাজ//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :