চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে প্রকাশ্য নিলামে উঠছে আফগানিস্তান থেকে আমদানি করা ১৫ হাজার ৮৬৮ লিটার কোমল পানীয় ‘পামির কোলা’। আগামী বুধবার (৭ এপ্রিল) এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। গ্রীন, রেড ও অরেঞ্জ—এই তিনটি ভিন্ন রঙের ৩০০ মিলি ক্যানবন্দি এই কোমল পানীয়গুলোর মেয়াদ রয়েছে ২০২৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিলামের জন্য সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৪ লাখ ৫০ হাজার ৬২৭ টাকা। নিলামে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী বিডারদের দরের ২০ শতাংশ সমমূল্যের পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। নিলামে বিজয়ী হলে পণ্য মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ আয়কর এবং ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) পরিশোধ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জামানতের বাইরের অর্থ বুঝিয়ে পণ্য খালাসও সম্পন্ন করতে হবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পচনশীল পণ্য দ্রুত নিলামে তোলার নির্দেশনা অনেক আগেই দিয়েছিল। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অনীহার কারণে অনেক সময় তা বাস্তবায়ন হয়নি। এতে বহু খাদ্যপণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও রাজস্ব ও ধ্বংস খরচ বহন করতে হয়েছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা গতি এসেছে বলে দাবি করেছে সংশ্লিষ্টরা। নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, “চট্টগ্রাম কাস্টমসের নির্দেশনায় আমরা দ্রুত নিলাম পরিচালনা করছি। পাশাপাশি অযোগ্য পণ্যের ধ্বংস কার্যক্রমও চালু রয়েছে।”
নিয়ম অনুযায়ী, জাহাজ থেকে খালাসের ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারক পণ্য না তুললে ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশ দিয়ে, সর্বোচ্চ ৪৫ দিনের মধ্যে তা নিলামে তোলার বিধান রয়েছে। বাস্তবে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতায় ভোগে। ফলে পণ্য জমে যায়, কন্টেনার জটে সৃষ্টি হয় বন্দরে।
নিলামে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন বিডার অভিযোগ করেছেন, বিক্রির অনুমোদনে বিলম্ব হলে পে-অর্ডার মাসের পর মাস আটকে থাকে। তাদের মতে, অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুততর হলে কাস্টমস ও ব্যবসায়ী—উভয়েরই লাভ হতো।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :