দুধের ব্যবসার আড়ালে গত ৭ বছর যাবত ভেজাল ঘি ও দুধের কারবার করে আসছিলো সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর গ্রামের কমল ঘোষ ও তার ভাই দিলীপ ঘোষ। অবশেষে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরির সময় হাতে-নাতে ধরা পড়েছে তারা।
শনিবার (৫ এপ্রিল) রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা ডিবি পুলিশের একটি দল সদরের ফিংড়ী ইউনিয়নের হাবাসপুর এলাকায় এ অভিযান চালান। অভিযানে ২০ লিটার ভেজাল ঘি ও ২৬০ লিটার ভেজাল তরল দুধ জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। এছাড়া ভেজাল দুধ ও ঘি তৈরীর কাজে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা, পামঅয়েল, সয়াবিন তেল, জেলী ও মেশিন জব্দ করে।
গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি নিজাম উদ্দীন মোল্যার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ভেজাল দুধের কারবারির ব্যাপারে কমল ও দিলীপ এসব বিষয় স্বীকার করেন।
তারা বলে, ৫শ গ্রাম পরিমাণ দুধে ও ৫শ গ্রাম পামঅয়েল দেয় এছাড়াও সয়াবিন তেল ও একধরণের জেলী কাচামাল হিসেবে ব্যবহার করি। প্রতিদিন ৩-৪শ লিটার দুধ ও আধা মন ঘি তৈরি হয়। দুধ পুরোটায় মিল্ক ভিটায় দেয়। ঘি বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়।
কমল ঘোঘ বলেন, ছোট কাল থেকে দুধের ব্যবসায় করলেও ৫-৭ বছর যাবত এই ভেজাল কারবারে জড়িয়েছি।
এই বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ওসি মোঃ নিজাম উদ্দীন মোল্লা ঘটনাস্থল থেকে জানান, আশাশুনি থানার সীমান্ত এলাকা ও সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নে বহুদিন ধরে দুগ্ধ জাতীয় ভেজাল পণ্য ঘি ও দুধ তৈরি করে আসছিলো অসাধু কারবারিরা। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আকষ্মিক অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ, ঘি সহ ভেজাল কাজে নিয়জিত থাকা কালে হাতেনাতে দুই সহোদর কমল ঘোষ ও দিলীপ ঘোষকে আটক করা হয়।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :