বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে (বেরোবি) প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও রংপুর মহানগরীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক এবং জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের সম্মানে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শওকাত আলী। তিনি উপস্থিত সাংবাদিক ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন এবং সমস্যা উভয় দিকই তুলে ধরা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে গণমাধ্যমকর্মীদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ।"
উপাচার্য আরও জানান, "গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মানে এমন ইফতার মাহফিল এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে আয়োজন করা হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাংবাদিকদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। পাশাপাশি, তিনি জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন এবং শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
ইফতার মাহফিলে রংপুরের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন, রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ স্বপন চৌধুরী; রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আব্দুল আজিজ চৌধুরী সাঈদ; রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও রংপুর ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট-এর সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান; রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ জীবন; রংপুর বিভাগীয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোঃ শরিফা বেগম শিউলী; বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, রংপুরের সভাপতি মমিনুল ইসলাম রিপন; টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (টিসিএ), রংপুরের প্রতিনিধি মোঃ সাইফুর ইসলাম মুকুল; বেরোবিসাসের সাবেক সভাপতি মোবাশ্বের আহমেদ শিপন; চ্যানেল টুয়েন্টিফোর টেলিভিশনের রংপুর ব্যুরো প্রধান ফখরুল শাহীন
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইফতার মাহফিলে জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীরাও আমন্ত্রিত ছিলেন। আহত শিক্ষার্থী রিফাত রাফি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন আয়োজনে আমন্ত্রণ পাওয়া আমাদের জন্য সম্মানের বিষয়। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের পাশে থাকবে এবং আহতদের সার্বিক সহায়তা দেবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াছ প্রামানিক অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। তিনি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অপরিসীম। এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলবে। আমাদের অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকদের ইতিবাচক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।"
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব রকিব উদ্দিন আহাম্মেদ বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি, আহত শিক্ষার্থীদের সুস্থতা ও দেশের কল্যাণ কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তাজুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
কালের সমাজ// এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :