পুলিশের গাড়ি থেকে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা- যৌথবাহিনী কর্তৃক ১১জনকে গ্রেফতার করার পর নেতাকর্মীসহ এলাকার শান্তি শৃঙ্খলার কথা চিন্তা করে নিজেই পুলিশকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এই আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল ওহাব।
বুধবার (৫ ফেব্রয়ারি ২০২৫ইং) পুলিশ জানায়, পুলিশের গাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গত রবিবার ২ ফেব্রয়ারি দিবাগত রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার মথুরাপুর ও নারায়ণপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ১১জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জালাল শেখ, বাবু শেখ, সেলিম শেখ, আলাল শেখ, আলহাজ শেখ, নজরুল শেখ, নাজমুল সরদার, ইমন আলী, ছাত্তার সরদার, সমশের শেখ ও শিউলি আক্তার। এদের মধ্যে শিউলি আক্তার স্থানীয় মথুরাপুর সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা এবং গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই দিনমজুর। অনেকেই বলেন, এই ভাবে গ্রেফতারের কারণে এলাকার মানুষের পুলিশ যাতে গ্রেফতার না করে সেইজন্য আওয়ামীলীগ নেতা ওহাব পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজাহার আলী বাদী হয়ে উক্ত ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন। সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা গণমাধ্যমকে জানান, গ্রেফতারকৃত সকল আসামীদের গত সোমবার বিকেলে পাবনা জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পাবনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত সুজানগর সার্কেল) আবুল কালাম আজাদ জানান, উক্ত ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে প্রধান আসামী করে ৬৪ জনকে এজাহার নামীয় এবং ২০০-৩০০জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামী করা হয়েছে। এসব আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল ওহাবকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবিতে পৃথক ভাবে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলা বিএনপি, উপজেলা জামায়াতে ইসলাম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এদিকে পুরো উপজেলার থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে এলাকাবাসী জানায়।
এন ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :