দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে জাতি। এ জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ঢাকার সাভারের অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
সোমবার মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে সবুজে ঘেরা ১০৮ হেক্টর জমির ওপর নির্মিত স্মৃতিসৌধে গেল এক মাস ধরে চলছে সৌন্দর্য বর্ধন, ধোঁয়া মোছাসহ প্রস্তুতির সব কাজ।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির বিজয়ের দিনে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও ভালোবাসা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল নামবে। সকালে রাষ্ট্রপতি ও সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শ্রদ্ধা নিবেদনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে সৌধের ফটক।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও বীর যোদ্ধাদের শ্রদ্ধায় গেল এক মাস ধরে স্মৃতিসৌধের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছে সৌধ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা গণপূর্ত অধিদপ্তর। ধুয়ে-মুছে সাফসুতরো করার পর রঙ তুলির আঁচড়ে সাজানো হচ্ছে বেদি পর্যন্ত যাওয়ার সড়ক। সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে রঙিন গাছ। ছোট-বড় গাছ ও ফুলের গাছগুলো কেটেছেটে করা হয়েছে পরিপাটি। শ্রমিকরা দিন রাত সৌধে কাজ করছেন।
শনিবার স্মৃতিসৌধে গিয়ে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধ চত্বরের বিভিন্ন সড়ক পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে নতুন ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। সড়কবাতিগুলোর লোহার পাইপে নতুন করে রংয়ের আঁচর পরেছে। স্মৃতিসৌধের ফটকে স্মৃতিসৌধ দেখতে ভীর করেছেন অনেকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে জনসাধারণের প্রবেশ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকার বিষয়টি জানার পর ফটকের খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে স্মৃতিসৌধ দেখছেন তারা।
এদিকে স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে নতুন সড়কবাতি লাগানো, সড়ক বিভাজকে নতুন করে রং দেওয়া ও সড়কে জমে থাকা ধুলোবালি সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর জানায়, গেল ১৫ দিন আগে স্মৃতিসৌধে সর্বসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করা হয়। এরপর থেকেই দিন-রাত শুরু হয় সংস্কার কাজ। ইতোমধ্যে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
কালের সমাজ/আ.য
আপনার মতামত লিখুন :