বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ‘উইমেন’স উইন্টার এক্সপিডিশন’ বা ‘নারীদের শীতকালীন অভিযান’ শীর্ষক এক বিশেষ পর্বত অভিযানের আয়োজন করেছে পর্বতারোহীদের সংগঠন ‘অভিযাত্রী’। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড মাস্টারকার্ডের সার্বিক সহযোগিতায় এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশি পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার। উদ্যোগের আরেক সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আজ শুক্রবার এ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক পতাকা অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অভিযানের লক্ষ্য বাংলাদেশের নারীদের দৃঢ়তা, কল্পনা শক্তি ও সাহসিকতা উদযাপন করা। অভিযানের নেতৃত্বে থাকবেন নিশাত মজুমদার, দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পর্বতারোহী ইয়াসমিন লিসা, এপি তালুকদার, অর্পিতা দেবনাথ ও তহুরা সুলতানা রেখা। পর্বতারোহীদের মধ্যে দুইজন অভিজ্ঞ পর্বতারোহী এবং দুইজন নতুন প্রশিক্ষণার্থী ট্রেকার।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো’র মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রিজিওনাল রেজিস্টার ফর এশিয়া প্যাসিফিক তালিকায় স্থান পেয়েছে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের লেখা নারীর মুক্তিপ্রত্যাশী কাহিনী “সুলতানাস ড্রিম”। এই বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘সুলতানা’স ড্রিম আনবাউন্ড’ বা ‘সুলতানার স্বপ্ন অবারিত’ স্লোগানে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অভিযাত্রী।
নেপালের লাংটাং হিমালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই শীতকালীন অভিযানের লক্ষ্য তিনটি শিখরে আরোহণ করা: নয়া কাঙ্গা পিক (৫,৮৪৪ মিটার), ব্যাডেন পাওয়েল পিক (৫,৮৫৭ মিটার), এবং ইয়ালা পিক (৫,৫০০ মিটার)।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কো ঢাকার হেড অব কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক এনগেইজমেন্ট নুসরাত আমিন, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, মফিদুল হক।
এ সময়, নিশাত মজুমদারের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেন অতিথিবৃন্দ; তিনি এই অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ইউনেস্কো, মাস্টারকার্ড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিনিধিরা বক্তব্য প্রদান করেন।
কালের সমাজ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :